নেই ঈদের সেই আনন্দ, নেই হাসিমুখ-কোলাকুলি
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ভাগ বসিয়েছে ঈদের আনন্দেও। প্রতিবছর ঈদের নামাজের পর হাসিমুখে কোলাকুলির চিরায়ত দৃশ্য দেখা গেলেও এবার আর তা চোখে পড়েনি কোথাও। করোনার হাত থেকে রক্ষার জন্য মানুষকে বজায় রাখতে হচ্ছে সামাজিক-শারীরিক দূরত্ব।
তাই এক মাস রোজা রাখার পর খুশির ঈদ এলেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের মনে নেই সেই আনন্দ। ঈদের খুশির বদলে আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তা নিয়েই মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
বিরূপ পরিস্থিতির কারণে অধিকাংশ মানুষই নতুন জামা-জুতা কিনতে পারেননি পরিবারের সদস্যদের জন্য। এমনকি ঈদের নামাজ শেষে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি যাওয়াও হবে না। ঈদের আনন্দ কাটাতে হবে শুধুই ঘরে বসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। পরিবারের শিশুদের বিনোদনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না। এভাবেই এবার ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে।
রাজধানীর কাজীপাড়া জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা রানা আলমগীর বলেন, রোজার শেষে ঈদ এসেছে, কিন্তু ঈদের সেই আমেজ কোথাও নেই। ঈদের নামাজ পড়েছি আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তা নিয়ে। ঈদের দিন এমন হবে এটা কখনও ভাবিনি। করোনা আমাদের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। কবে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাব।
মামুন আবেদিন নামের অপর একজন বলেন, প্রতিবার ঈদের দিন বন্ধুরা মিলে হইহুল্লোড় করি। এবার আর কিছুই করতে পারবো না। একবন্ধু আরেক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত খেতে যাব তারও সুযোগ নেই। করোনা ঈদের খুশির বদলে বেদনা দিয়ে গেলো।
ষাটোর্ধ্ব সাইফুর রহমান সরকার বলেন, প্রতিবছরই ঈদের দিন প্রতিবেশীদের সঙ্গে কত আনন্দ করেছি। ঈদের নামাজ শেষে বন্ধু-পরিচিতজনদের সঙ্গে কোলাকুলি করেছি। এবার কারো সঙ্গে কোলাকুলি করার কোনো সুযোগ হয়নি। দূরে দাঁড়িয়ে একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। কোলাকুলি করতে না পারার কষ্টে খারাপ লাগছে। কিছুই তো করার নেই। পরিস্থিতির কারণে আমাদের এটা মেনে নিতে হচ্ছে।
করোনার কারণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলাননি মুসল্লিরা।
পি
মন্তব্য করুন