পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সব দেশের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে আগমনী ভিসা (ভিসা অন-অ্যারাইভাল) পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় মঙ্গলবার (১৬ জুন) এ কথা জানানো হয়েছে। এর আগে কয়েক দফায় স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, তবে শুধু বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ভিসা নীতিমালার আলোকে বাংলাদেশে আগমনী ভিসা প্রদান করা যাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভিসা প্রার্থীকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যুকৃত পিসিআর কোভিড-১৯ মুক্ত সনদ (ইংরেজিতে অনুবাদ করা) এবং তিনি এদেশের একজন প্রকৃত বিনিয়োগকারী/ব্যবসায়ী মর্মে প্রয়োজনীয় প্রত্যয়ন ও এ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ইমিগ্রেশন কাউন্টারে জমা দিতে হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রথমে গত ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে সব ধরনের অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত ঘোষণা করে সরকার। এরপর বন্ধ হয়ে যায় বিমান যোগাযোগও। পরে সাধারণ ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দফায় দফায় বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়। একই সঙ্গ বাড়ে অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিতের মেয়াদও। সবশেষ নির্দেশনায় অন-অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিতের মেয়াদ ছিল ১৫ জুন পর্যন্ত।
টানা ৬৬ দিনের ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি পালন ও নানা নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয় সরকার। একই সঙ্গে সীমিত পরিসরে গণপরিবহনও চালু করা হয়। অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ জুন থেকে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। একইভাবে ১৬ জুন থেকে শুরু হয় আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল।
উল্লেখ্য, দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনায় (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা দেয় আইইডিসিআর। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। জীবন-জীবিকার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দুমাস পর গত ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালুর পর থেকে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
পি
মন্তব্য করুন