ঢাকায় ১১টি স্থানে ট্রেনের টিকিট কাউন্টার হবে: রেলপথ মন্ত্রী
রাজধানী ও বিভাগীয় শহরে একাধিক স্পটে ট্রেনের টিকিট কাউন্টার স্থাপন করতে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় ১১টি স্থানে টিকিট কাউন্টার স্থাপন করা হবে। বললেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গার তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক জনপ্রিয় ও লাভজনক খাত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বেসরকারি পরিবহনের মতো রাজধানী এবং বিভাগীয় শহরে একাধিক স্পটে টিকিট কাউন্টার স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে রেলভ্রমণে সামাজিক গুরুত্ব মেনে চলার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। পরবর্তীতেও আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের ১০০ ভাগ টিকিট অনলাইনে ইস্যুর বিষয়টি বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে আন্তঃনগর ছাড়া অন্যান্য ট্রেনের টিকিটের জন্য বিভিন্ন স্থানে কাউন্টার স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে কাউন্টার স্থাপনের পর কাউন্টার টু কাউন্টার স্টেশন মিনিবাস চালানোর বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবেচনা করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গত ২৭ মার্চ হতে ৩০মে পর্যন্ত ৬৭ দিন করোনা পরিস্থিতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় ৩০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় কমেছে। বর্তমানে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলছে। সরকারের রাজস্ব ক্ষতি পূরণ ও জনগণের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চার জোড়া পার্সেল ট্রেন এবং আম লিচুসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য সম্প্রতি ম্যাঙ্গো স্পেশাল নামে আরও একটি পার্সেল ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে।
সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলপথ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে দেশের সকল জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ লক্ষ্যে দেশের তিন পার্বত্য জেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
এমকে
মন্তব্য করুন