লে. জেনারেল কাসেম সোলায়মানির শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান লে. জেনারেল কাসেম সোলায়মানির চতুর্থ শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
‘জেনারেল সোলায়মানি : সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বিশ্ববীর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক জনাব জামালউদ্দিন বারী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, জেনারেল কাসেম সোলায়মানি ছিলেন তার সময়কালে দুনিয়ার এক নম্বর জেনারেল। মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস নির্মূল ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। জেনারেল সোলায়মানি শুধু প্রতিরোধ বাহিনীর গাইড লাইনই দেননি, নিজের উন্নত চিন্তা, ইমানি জজবা এবং অকুতোভয় সংগ্রামী চেতনাকে তার নির্দেশিত প্রতিটি বাহিনীর যোদ্ধাদের মধ্যে উজ্জীবিত করতেও সক্ষম হয়েছেন। এটিই বিশ্বের অন্য সব সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে জেনারেল কাসেম সুলাইমানির বড় পার্থক্য টেনে দেয়।
বক্তারা আরও বলেন, জেনারেল সুলাইমানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্ব হচ্ছে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিবদমান মুজাহিদ গ্রুপগুলোকে আইএস বিরোধী যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।পশ্চিমা সমরশক্তি ও গতানুগতিক যুদ্ধ কৌশলকে ব্যর্থ করে দিতে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। বিশ্বের এক নম্বর জেনারেল ও সমরবিদ কাসেম সুলাইমানির মধ্যে যে অসামান্য দূরদৃষ্টি, উচ্চতর মনুষ্যত্ববোধ, আধ্যাত্মিক চেতনা ও নিরলস কর্মবীরের গুণাবলির সন্নিবেশ ঘটেছিল, তা মধ্যপ্রাচ্যের জায়নবাদবিরোধী প্রতিটি মুক্তিকামী সৈনিকের মধ্যে পরশ পাথরের মতো প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
মন্তব্য করুন