• ঢাকা রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

শিক্ষার্থীর কাছে ওএমআর শিট ছেঁড়ার অভিযোগ শুনে যা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৭
হুমাইরা ইসলাম ছোয়া ও ডা. সামন্ত লাল সেন (সংগৃহীত ছবি)

সদ্যসমাপ্ত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে হুমাইরা ইসলাম ছোয়া নামে এক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে। এবার ওই শিক্ষার্থীকে পরিবারসহ সচিবালয়ে ডেকে অভিযোগ শুনলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে আসেন হুমাইরাসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় অভিযুক্ত ওই পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামও আসেন।

জানা গেছে, এদিন অভিযোগ তোলা শিক্ষার্থী হুমাইরা ইসলাম ছোয়াসহ তার পরিবারের সদস্যদের সচিবালয়ে ডেকে পুরো ঘটনা শুনেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। সবার কথা শোনার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।

সাক্ষাৎ শেষে হুমাইরার বাবা বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলা বিষয়ে সেই দিনের পুরো ঘটনা শুনেছেন। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চেয়েছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিগগিরই সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে মন্ত্রীর কাছে অভিযুক্ত পরিদর্শক এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সার্বিক তথ্য-প্রমাণাদি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছি। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যে ব্যবস্থা নেবেন তার প্রতি আমার পরিবারের আস্থা রয়েছে।

অভিযোগকারী পরীক্ষার্থীর দাবি, নারী শিক্ষার্থীর কেন্দ্র ছিল রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র (শেখ কামাল ভবন, অষ্টম তলা)। পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের সন্দেহে একজন পর্যবেক্ষক ওই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন। পরে পর্যবেক্ষক তার ভুল বুঝতে পারেন এবং নতুন ওএমআর শিট দেন। তবে তখন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। বারবার অনুরোধ করার পরও পরীক্ষা পর্যবেক্ষক তাদের জন্য পরীক্ষার সময় বাড়াননি।

এদিকে অভিযুক্ত পরিদর্শক ডা. নাফিসা ইসলামের দাবি, ওই দিন ওএমআর ফরম ছিঁড়ে ফেলা কিংবা পরীক্ষার্থীর কাছে ইলেকট্রিক ডিভাইস পাওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তাই অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর চেহারা আমার মনে নেই। তবে তদন্ত কমিটির সঙ্গে আবারও সেই হল পরিদর্শনে গিয়ে নিশ্চিত হয় আমি হলের ওই প্রান্তেই যায়নি। ওই খাতায় আমার স্বাক্ষরও নেই।

তিনি বলেন, ওই দিন একজন শিক্ষার্থীও ভুল করেননি, ফলে ওএমআর শিটও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়নি। তার খাতায় আমার সাইন নেই; থাকারও কথা না। কারণ, ওই সাইডে অভিযোগকারীর রোলও পড়েনি।

ডা. নাফিসা বলেন, নিজেকে আমি আড়াল করিনি। এটা আমার দুর্ভাগ্য। আমাকে তারা যে নম্বরে ফোন করেছেন, পরিদর্শকের তালিকায় আমার যে নম্বর ছিল, সেটা টাইপিং মিসটেকজনিত ভুল ছিল। পরে এ বিষয়ে হল সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া আমি নিয়মিত হাসপাতালেও যাচ্ছি। কিন্তু হাসপাতালে আমাকে যে বিভাগে খোঁজা হয়, আমি সেই বিভাগে ছিলাম না। আমার প্লেসমেন্ট ছিল অন্য জায়গায়। আমার নামটা সরাসরি চলে আসায় আমার সন্দেহ হয়েছিল যে আমার নামে কিছু ছড়াতে পারে, সেজন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভেট করি।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল সন্দেহে শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ছেঁড়ার অভিযোগ তদন্ত করতে ৪ সদস্যের কমিটি করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। তারা জানিয়েছে এমন কোনো কোনো ঘটনাই ঘটেনি এই হলে।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ ২৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এবার হত্যা মামলার আসামি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল
জাহিদ মালেকসহ আরও ১৩ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
দেশের সকল হাসপাতালকে স্বাবলম্বী করতে চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী