রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঘুমে বিঘ্ন ঘটানোয় ওলিউল্লাহ রনি (২৯) নামের এক বাড়িওয়ালাকে হত্যা করেছেন তারই ভাড়াটিয়া মোরশেদ আহম্মেদ (৩৭)। গত শুক্রবার রাতে তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (২৬ মে) সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক এ তথ্য জানান। শনিবার রাতে জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার চর ভাটিয়ালি এলাকা থেকে মোরশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিসি এইচ এম আজিমুল হক জানান, ‘ওলিউল্লাহ রনি বাসায় ভাড়া থাকতেন মোরশেদ। রনি ও তার বন্ধুদের যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারতেন না তিনি। তাকে যে কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয় সেই কক্ষেই রনি ও তার বন্ধুরা তাস খেলাসহ মাদক সেবন করতেন। তাদের এই খেলার জন্য মোরশেদকে প্রায়ই দেরিতে ঘুমাতে হতো। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার বাকবিতণ্ডাও হয়।’
তিনি জানান, ‘মোরশেদের কক্ষে রনি তার বন্ধু মশিউর, বায়েজিদুল ইসলাম, একিন ও অমিতকে নিয়ে গত ২৫ মে রাতেও তাস খেলছিলেন। পরে মোরশেদ আসার পর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মোরশেদ ছুরি দিয়ে রনিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় রনির বন্ধুরা চিৎকার করলে রনির ভাই রফিক ছুটে আসেন। তিনি বাধা দিতে চাইলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মোরশেদ। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় রনি ও রফিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ডিসি জানান, ‘এ ঘটনার পরপরই জামালপুর পালিয়ে যান মোরশেদ। পরে পুলিশ কৃষকের ছদ্মবেশে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।’
এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, ‘মোরশেদ ঢাকায় থেকে পাঠাও চালাতেন। তিনি রনির বাসায় ভাড়া থাকতেন। সারাদিন পরিশ্রম করে ফিরে বাসায় ঘুমাতে পারতেন না। ফলে ক্ষুব্ধ ছিলেন রনির প্রতি। এটা নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে তর্ক হতো। শেষ পর্যন্ত তিনি বাড়িওয়ালাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।’