ফিরে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা, চিড়িয়াখানা খোলার বিষয়ে যা জানা গেল
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঢাকার জনপ্রিয় বিনোদনকেন্দ্র জাতীয় চিড়িয়াখানা বন্ধ রয়েছে। তবে বন্ধের খবর না পাওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে চিড়িয়াখানায় সামনে গিয়ে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের গেট থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। টিকিট কাউন্টারে কোনো ব্যক্তিকে দেখা যায়নি।
এদিন রাজধানীর কলাবাগান থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আব্দুল কাহার বলেন, ‘চিড়িয়াখানা বন্ধের খবর না জানায় এখানে এসে হতাশ হয়েছি। যেই সিএনজিতে এসেছি, সেটাতেই আবার ফিরে যাচ্ছি।’
এদিকে চিড়িয়াখানা বন্ধের খবরটি নিশ্চিত করেছেন চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার। তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর কারফিউয়ের কারণে গত ২০ জুলাই থেকে চিড়িয়াখানা বন্ধ রয়েছে।’
চিড়িয়াখানার পরিচালক বলেন, ‘চিড়িয়াখানা কবে খুলবে এটা নির্ভর করে সরকার কারফিউটা কতটুকু শিথিল করে তার ওপর। আমি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছি। তাদের আমি জানিয়েছি, এটা ২০ তারিখ থেকে বন্ধ।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের চিড়িয়াখানা সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। চিঠিতে আমি বলেছি, কারফিউ বিকেল ৬টা পর্যন্ত শিথিল না হওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে। কারফিউ যখন শিথিল হবে, মানুষ যখন সহজে যাতায়াত করতে পারবে বা নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারবে, তখন আমরা চিড়িয়াখানা খুলে দেবো। এটা আমাদের চিন্তা।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের স্বস্তি ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে চিড়িয়াখানা বন্ধ রেখেছি। কারফিউ শিথিল হলেই আমরা এটা খুলে দেব।’
মন্তব্য করুন