• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo

তথ্য যাচাই করে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব প্রতিদেবক

  ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৩
ছবি: সংগৃহীত

ভুল তথ্যে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) হল রুমে সাধারণ ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। সাধারণ ব্যবসায়ীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, আমরা রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী। গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে কারওয়ান বাজার এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে ব্যবসা পরিচালনা করছিলাম। এ সময় আমাদের দোকান থেকে একটু দূরে কিছু লোকের ঝগড়া করছিলো। এক পর্যায়ে মারামারির শব্দও শোনা যায়। আমরা কোন কিছু না বুঝেই ঝগড়া থামানোর জন্য সেখানে ছুটে যাই, গিয়ে দেখি আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ দোকান ঘর ভাগাভাগি এবং চাঁদা আদায় নিয়ে মারামারি করছে। তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করি। যাতে বিষয়টি আরও বেশি না বাড়ে। সেখানে বিবাদমান দু’পক্ষই অনড় অবস্থান নেয়, তারা একে অপরের ওপর পেশিশক্তি প্রয়োগের চেষ্টাও চালায়। বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জালাল আহমেদ মজুমদার উভয়পক্ষকে হট্টগোল থেকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে বিবাদমান দু’পক্ষের কিছু লোক ষড়যন্ত্র করে উল্টো মো. জালাল আহমেদ মজুমদারকেই ফাঁসিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়।

লিখিত বক্তব্যে নাসির উদ্দিন আরও জানান, স্থানীয় চিহ্নিত একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মো. জালাল আহমেদ মজুমদারকে ঘেরাও করে রেখে সাংবাদিক ভাইদের খবর দেয়। স্থানীয় সাংবাদিকরা একপক্ষের দেওয়ার তথ্যের যাচাই বাছাই না করে মো. জালাল আহমেদ মজুমদারকে চাঁদা আদায়কারী বলে ভুল সংবাদ প্রচার করে। মো. জালাল আহমেদ মজুমদার সাংবাদিকদের বারবার বুঝাতে চেষ্টা করেন তিনি সরকারি নিয়ম মোতাবেক সব ধরনের বৈধতা নিয়ে কারওয়ান বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তিনি কোন চাঁদাবাজ নন এবং তার দু’টি দোকানের ব্যবসায়ীক কাগজপত্র ও ভিজিটিং কার্ড দেখান। কিন্তু তারা মো. জালাল আহমেদ মজুমদারের কথায় কোন কর্ণপাত করেননি।

ঘটনাস্থলে থাকা ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা লুতু মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ ইদ্রিস, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. বোলন মোল্লা, ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মিজান, আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ, শ্রমিক লীগ নেতা মো. লুৎফর, যুবলীগ নেতা আমিরের মেয়ে আনিকা (আনিকা সাবেক কমিশনার শামীমের পিএস আলমগীরের কেশিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন) পরিকল্পিতভাবে মো. জালাল আহমেদ মজুমদারকে চাঁদাবাজ হিসেবে চিত্রায়িত করতে উঠে পড়ে লেগে যান। এরা একজোট হয়ে ঘটনার সময় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরে। এসব মিথ্যা তথ্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা ভুল তথ্য তুলে ধরেন। যাতে তিনি সামাজিক ও পারিবাবিরভাবে হেয় প্রতিপন্ন হন।

নাসির উদ্দিন বলেন, মো. জালাল আহমেদ মজুমদার একজন অতি সাধারণ ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন কারওয়ান বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার কারণে স্থানীয় অন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। দীর্ঘদিন একটি সরকার দেশ পরিচালনার কারণে সর্বত্রই একটি দলের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, কারওয়ান বাজারের অবস্থাও একই ছিল। আমরা ব্যবসায়ীরা নিজেরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে এখানে কোনো অনিয়ম ও চাঁদাবাজি না হয়। কিন্তু এখন তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মো. জালাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলা হয়। যাতে ব্যক্তিগতভাবে তিনি খুবই আহত হন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কারওয়ান বাজারে সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে তথ্য যাচাইবাছাই করে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ জানাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • রাজধানী এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ব্যবসায়ী তানভীর
হিলিতে নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ, ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংলাপে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা
ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের সংঘর্ষে আহত ৪০