ঢাকা

ছয় ঘণ্টা পর পঙ্গু হাসপাতালে জরুরি সেবা চালু

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ , ০৮:০১ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ‘জুলাই যোদ্ধা’ রোগীদের সঙ্গে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) আউটসোর্সিং কর্মীদের মারমারির ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা। বন্ধ হওয়ার ছয় ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৫টায় আবার শুরু হয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় মারামারির পর থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়ে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জরুরি বিভাগের টিকেট বিক্রি শুরু হয়।

হাসপাতালটির এক কর্মী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর মধ্যে রোববার (৯ মার্চ) রাতে ব্লাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মীরা। এর মধ্যে তাদের ওপর ‘হামলা’ হয় বলে দাবি করেন ওই কর্মী।

বিজ্ঞাপন

অভ্যুত্থানে আহত মামুন বলেন, ৫ অগাস্ট আশুলিয়া থানার সামনে আহত হওয়ার পর থেকে তিনি এ হাসপাতালে এখানেই ভর্তি রয়েছেন। পুরো হাসপাতাল চালায় দালাল সিন্ডিকেট। এর বিরুদ্ধে কথা বলায় সকাল ১০টার দিকে ফিজিওথেরাপি নিতে যাওয়া আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা চালায় হাসপাতালের একদল কর্মচারী ও দালাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালের প্রধান ফটকে পুলিশ আর ভেতরে সেনাবাহিনী অবস্থান নেয়। সংঘাতের পর কর্মচারীরা হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারগুলো খালি দেখা গেছে। কয়েকজন টিকিট কাটতে পারলেও কোনো চিকিৎসা পাননি।

সকালে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে হৃদয় নামে একজনের সঙ্গে আসা মো. আব্বাস বলেন, রোগীটাকে এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে।  ব্যথায় চিৎকার করতেছে, কিন্তু কেউ অ্যাটেন করছে না।

নরসিংদী থেকে দুই বছরের শিশুকে নিয়ে আসা শিশুটির মা বলেন, আড়াই-তিন ঘণ্টা হলো তারা হাসপাতালে এসেছেন, কিন্তু কোনো চিকিৎসা পাননি।  বাচ্চাটা কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ে আবার জেগে উঠে কাঁদতে শুরু করে।  একজন ডাক্তার বা কর্মীও নাই হাসপাতালে।

বিজ্ঞাপন

তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান বলেন, আগে থেকেই তাদের দুই পক্ষের মনোমালিন্য ছিল।  আহতদের দাবি ছিল ঠিকমতো সেবা না দেওয়ার। কর্মচারীদের দাবি, আহতদের আচরণ উগ্র ছিল।  আজ বৈঠকে বসে পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে।  বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।  দুপক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি।  মারামারির ঘটনায় কয়েকজন হালকা আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনান বিকালে বলেন, আমি এখন একটা মিটিংয়ে আছি।  এখানে আর্মির কমান্ডিং অফিসারসহ অন্যরা আছে।  একটু পরে কথা বলছি।

আরটিভি/এমএ-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |