রাজধানীর খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকায় পুলিশের গাড়িতে হামলা করে ছিনিয়ে নিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক কিশোরকে উত্তেজিত জনতা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন। তবে পুলিশ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দেওয়া দেয়া হয়নি। ওই অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার সময় পুলিশ সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হলে খিলক্ষেত থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া, আরও ৭ থেকে ৮ জন পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়রা আটকে রেখেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। গণপিটুনির শিকার কিশোরকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর অন্য আহতরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে মারপিট করছিল স্থানীয়রা। খবর পেয়ে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে খিলক্ষেত বাজারে নিয়ে এলে স্থানীয় কয়েকশো লোক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এতে ওসি, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আশিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সেখান থেকে অভিযুক্ত ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সর্বশেষ রাত দেড়টার দিকে ওসি কামাল হোসেন জানান, ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই কিশোর মারধরে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/কেএইচ