ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্যাশিয়ার মোশাররফের চাঁদাবাজি চক্র এখনও সক্রিয়

আরটিভি নিউজ 

রোববার, ১১ মে ২০২৫ , ১০:০৯ এএম


loading/img

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত মোশাররফ হোসেন ওরফে মিনতিকে গত ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তাই বলে থেমে নেই তার অনুসারীরা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার একাধিক পয়েন্ট থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছে চক্রটি; গড়ে তুলেছে মোশারফ বাহিনী।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ‌মোশারফ বাহিনীর সদস্যদের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন দিলীপ কুমার, কামাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন, মোহাম্মদ নজরুল আলম খান ও মিজানুর রহমান পাটোয়ারী। এদের মধ্যে দিলীপ কুমার গ্রেপ্তার হলেও বাকি সদস্যরা সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন চাঁদাবাজি।  

‌রাজধানীর সবচেয়ে বৃহত্তম পাইকারি আড়ত কাওরান বাজার যেন এখন চাঁদাবাজদের অভয়ারন্য। নানা উপায়ে দিনভর চলে এ অন্যায়। আর এ চাঁদাবাজির অর্থ মাস শেষে দাঁড়ায় কয়েক কোটি টাকার ওপরে। শুধু তাই নয়, টাকার বিনিময়ে সিটি করপোরেশনের পার্কিং স্পটগুলোও এখন নিয়ন্ত্রণ করছে ওই চক্র। সেখান থেকেও মাস শেষে আদায় হচ্ছে কোটি টাকা। সিটি করপোরেশন নামমাত্র টাকা পেলেও বাকি সব চলে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রকদের পকেটে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া, কাওরানবাজারের তিনটি মৎস্য আড়ত থেকে মোশারফ প্রায় বিশ কোটি টাকা চাঁদা তুলে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এক মৎস্য আড়ৎদার। অভিযোগ আছে, মোশারফ গত ১৬ বছরে কারওয়ান বাজার আড়ৎ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছেন, যার একটি অংশ পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। 

শুধু তাই নয়, তেজগাঁও সরকারি ও সিটি কর্পোরেশন এর জায়গা দখল করে মোশাররফ একটি ক্লাবও গড়ে তোলেন, যেখানে তিনি ক্যাসিনো ব্যবসা করতেন। বিগত সরকারের আমলে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকেই গ্রেপ্তার হলেও মোশাররফ তার কাজ চালিয়ে গেছেন নির্বিঘ্নে। কারণ, তার মাথার ওপর ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত। 

জানা যায়, মোশাররফের চাঁদাবাজির অংশ পেতেন তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন শ্রমিক লীগের সভাপতি কাশেম ওরফে হাতকাটা কাশেম। পুরো কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। তারও একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গ্রুপ ছিল, যারা কারওয়ান বাজার পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করতো। গত ৫ আগস্ট দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পরে সবাই পালিয়েছেন। কিন্তু, মোশারফ এখনও জেলে বসে কারওয়ান বাজারের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন। 

বিজ্ঞাপন
Advertisement

কারওয়ান বাজার মৎস্য আড়তদের মালিক সমিতির একজন জানান, ডিটিএল নামক একটি মৎস্য আড়ত হক-বে কোম্পানির কাছ থেকে সাত বছর আগে একটি সংগঠনের নামে ক্রয় করা হয়েছিল। সেই আড়তে শেয়ার দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মোশারফ ও তার সহযোগীরা। 

অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই চাঁদাবাজদের হাত থেকে পরিত্রাণ চান সাধারণ মৎস্য আড়তদাররা।

আরটিভি/এসএইচএম/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |