যমুনা নদীতে নৌকাডুবি: লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে পিকনিকের নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে ফয়সাল নামে একজনের মরদেহ পাওয়া গেলেও বাকি চারজনের এখনো কোনও সন্ধান মেলেনি।
এ ঘটনায় জেলার গোপালপুর উপজেলার বাইশকাইল গ্রামে চলছে শোকের মাতম। সান্তনা হিসেবে প্রিয়জনের মরদেহ দাবি করছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজন।
নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুর রশিদের ছেলে হাসিনুর রহমান (৩০), আবুল হোসেনের ছেলে মিজান রহমান (২৮), সোহরাব হোসেনের ছেলে শরিফ (১৭) এবং কিতাব আলীর ছেলে শাহাদত হোসেন (১৭)।
এদিকে গেল বুধবার সন্ধ্যায় নৌকাডুবিতে পাঁচজন নিখোঁজ হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযানে নামে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। টানা দুইদিন অনুসন্ধানের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করেন তারা।
শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৪৫ কিলোমিটার ভাটিতে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার চালহরা চর থেকে নিখোঁজ কলেজছাত্র মারুফ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এনায়েতপুর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ জানান, চালহরা চরে আটকে থাকা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে জেলেরা পুলিশে খবর দেয়। পরে মরদেহের পকেটে থাকা মোবাইলের সিম থেকে নম্বর নিয়ে বাড়িতে ফোন দেয়া হলে মারুফের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। সে সাত্তার মণ্ডলের ছেলে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। নিহত মারুফ ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তেন।
টাঙ্গাইল অঞ্চল নৌ-থানার ওসি বাবর আলী খান জানান, নিহতের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ পাওয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ভাটির ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে ব্যর্থ হন। তাই মরদেহ উদ্ধারের আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই।
গোপালপুর থানা অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিখোঁজদের মধ্যে মারুফের মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে অন্যদের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গেল বুধবার গোপালপুরের বাইশকাইল গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ২২ জনের একটি দল যমুনা নদীতে নৌকা ভ্রমণে যায়। সন্ধ্যায় নদীর চায়না বাঁধ এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ১৭ জন উদ্ধার হলেও পাঁচজন নিখোঁজ হয়।
এসএস
মন্তব্য করুন