পাবনায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মদপান করে ২ কলেজছাত্রের মৃত্যু (ভিডিও)
পাবনা জেলার আতাইকুলার বনগ্রামে ছোট বোনের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বিষাক্ত মদপান করে দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোরে জেলার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম সাহাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত কলেজছাত্ররা হলো সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম সাহাপাড়ার নন্দদুলাল সাহার ছেলে শুভ সাহা(২২) ও সুভাষ সাহার ছেলে আকাশ সাহা(২০)। আকাশ পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র ও শুভ ঢাকা স্ট্যামফোর্ড কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। তারা একে অপরের বন্ধু।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নাছিরুল আলম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, শুক্রবার ওই এলাকার সুভাষ সাহার মেয়ে ও নিহত আকাশের ছোট বোন টিকলীর জন্মদিন ছিল। জন্মদিন উপলক্ষে আকাশের বাড়িতে রাতে ঘরোয়া পরিবেশে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জন্মদিনের কেক কাটা ও খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই ঘুমাতে গেলে আকাশ ও শুভ দুই বন্ধু অন্যরুমে একসাথে ঘুমাতে যায়। নিজ রুমে রাতে তারা মদ পান করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন বুঝতে পারায় তাদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে দশটার দিকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকাশ মারা যায়। পরে শুভর অবস্থার অবনতি হলে রাত তিনটার দিকে তাকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে সেও মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আতাইকুলা থানা এলাকার সাথিয়া উপজেলার বনগ্রাম বাজার গাঙ্গুহাটি এলাকায় ব্যাপকহারে মদ বিক্রি হয়। অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন বিষয়টি দেখেও নিশ্চুপ থাকে। তবে অনেকেই অভিযোগ করেন, ওইসব মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে পুলিশ নিয়মিত টাকা নেন বলে চুপ থাকে।
স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষক জানান, এই বাজারে ইয়াবা, ফেনসিডিল, স্পিরিট মিশানো লোকাল মদ বা মদ জাতীয় দ্রব্য হাতের নাগালে পাওয়ার কারণেই এই ধরনের অবস্থা তৈরি হয়েছে। তারা প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দেন।
একসাথে একই মহল্লার দুইবন্ধুর মৃত্যুতে বনগ্রাম সাহাপাড়া এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত দুই বন্ধুর পরিবারের সদস্যরা শোকে নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। গত তিন-চার মাস আগেও এই উপজেলার ধুলাউড়িতে বিষাক্ত মদপানে দুইজন মারা যান।
পাবনা সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঘর থেকে মদ খাওয়ার বিভিন্ন আলামত পেয়েছে। আমরা অধিক গুরুত্বের সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এই মদের উৎস কোথায়? কারা এর সাথে জড়িত? তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পি
মন্তব্য করুন