কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১২
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইদিন ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
শনিবার থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত কুতুপালং ক্যাম্পের মুন্না গ্রুপ এবং ইসলাম মাহাদ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার প্রথমে ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও পরে রোববার বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তবে বর্তমানে ওই ক্যাম্পের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মোঃ আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলাম জানান, ‘উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুন্না গ্রুপের সাথে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইসলাম মাহাদ গ্রুপের মধ্যে ইয়াবার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। পরে গত শনিবার ফাঁকা গুলিবর্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ্য রূপ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববারও থেমে থেমে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ২০টিরও বেশি রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘর, বেশ কয়েকটি ওয়াটার সাপ্লাইয়ের ট্যাং ভাংচুর করে। খবর পেয়ে এপিবিএনের সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছালে দুই গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষে অংশ নেয়া রোহিঙ্গাদের ধরার চেষ্টা চলছে’।
ত্রাণ প্রত্যাবাসন ও শরনার্থী বিষয়ক কমিশনের সহকারী কমিশনার শামসুদ্দোহা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে কুতুপালং ক্যাম্পের পূর্ব-পশ্চিম পুরোনো ও নতুন রোহিঙ্গাদের মধ্যে গোলগুলির ঘটনা ঘটে আসছিল। ৩০ আগস্ট রোববার সকাল থেকে আবারো দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জাড়ায়। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ক্যাম্প জুডে অতিরিক্ত পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ দূরত্বে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার স্বীকারোক্তি আদায় করেছিলেন সেই পুলিশ কর্মকর্তা
পি
মন্তব্য করুন