প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা সিলেটে ই-পাসপোর্টের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। আর এমআরপি মেশিন রেডিবল পাসপোর্ট জমা দিয়েও ১০ দিনের জায়গায় পাসপোর্ট মিলেনি তিন মাসে। ফলে সেবা নিতে আশা মানুষের ভোগান্তি চরমে।
অবশ্য মানুষের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের দাবি জনবল সংকটের কারণে হচ্ছে এমনটা। পাসপোর্টের পুলিশ তদন্তে টাকা লেনদেন ট্রাভেল অ্যাজেন্সি আর দালাল থেকে গ্রাহকদেরকে দূরে থাকার পরামর্শ সিলেট জেলা পুলিশের।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে শুরু হয় ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। শুরুর দিকে ই-পাসপোর্ট সেবাগ্রহীতা কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে বাড়ছে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। ফরম পূরণ শেষে পাসপোর্টের ফিঙ্গার দিতে একজন গ্রাহককে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।
বিদেশ যাত্রীরা মিশিন রিডেবল পাসপোর্টের চেয়ে ই-পাসপোর্টে ঝুঁকছে বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছেন এমআরপি মিশিন রিডেবল পাসপোর্টের গ্রাহকরা। ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার পর তিন মাসেও মিলে না পাসপোর্ট।
সেবা নিতে আশা মানুষের সব ভোগান্তির কথা স্বীকার করে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক বলছেন, জনবল সংকটের কারণে হচ্ছে এমনটা। মাত্র ২০ জন কর্মচারী কর্মকর্তা নিয়ে চলছে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস।
আর জেলা পুলিশ বলছে পাসপোর্টের পুলিশি তদন্তে অনেকেই দালাল বা ট্রাভেলসের মাধ্যমে পাসপোর্ট জমা দিতে গিয়ে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। কোনও ব্যক্তি দালালের সঙ্গে পুলিশি তদন্তে টাকা লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের। সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন সেবা নেন তিন থেকে ৩৫০ জন গ্রাহক।
জেবি