দিহানের ডাকে ফাঁকা বাসায় একাই গিয়েছিলো আনুশকা
ইফতেখার ফারদিন দিহানের ডাকে কলাবাগানের ডলফিন রোডের ফাঁকা বাসায় একাই গিয়েছিল মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনা। এমনকি ঘটনার পর রক্তাক্ত আনুশকাকে একাই গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান দিহান। সেসময় বাসার ভেতরে বা হাসপাতালে যাওয়ার সময় কেউ ছিলো না দিহানের সঙ্গে।
এসব তথ্য পুলিশ হেফাজতে থাকা দুলাল মিয়া জানিয়েছিলেন।দারোয়ান দুলাল মিয়া ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন।
গেলো রোববার রাতে কাজে ফিরেন তিনি। গতকাল সোমবার সকালে মামলার সাক্ষী হিসেবে দুলাল মিয়াকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
পুলিশক দুলাল জানান, ঘটনার দিন সকাল থেকেই দিহানের বাসার গেইটে দারোয়ান হিসেবে কাজ করছিলেন দুলাল। সেদিন দিহানের বাসায় সে ছাড়া আর কেউ ছিলো না বলে জানতো। দুপুরের দিকে একটি মেয়েকে দিহানের বাসায় যেতে দেখেন তিনি। এক ঘণ্টা পর মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় গাড়িতে করে বের হয়ে নিয়ে যেতে দেখেন দুলাল।
গেলো সাত জানুয়ারি সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল ফোনের কল পেয়ে বাসা থেকে বের হয় আনুশকা। এরপর বন্ধু দিহানের কলাবাগানের ডলফিন গলির বাসায় ধর্ষণের শিকার হয় সে। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে আনুশকাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দিহানের আরও তিন বন্ধু আসে। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আনুশকাকে মৃত ঘোষণা করে। চিকিৎসকরা জানান অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আনুশকার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। ঘটনার দিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় দিহানকে। সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
- আমার সাড়ে ১৮ বছরের ছেলে কিভাবে এমন কাজ করলো: দিহানের বাবা
- বাবার টাকা আর প্রশ্রয়েই অপরাধের সীমা ছাড়িয়েছে দিহান ও তার ভাই: গ্রামবাসী
- দুইমাস আগে থেকেই আনুশকা-দিহানের সম্পর্ক
- বাসা ফাঁকা থাকলেই বান্ধবীদের এনে উল্লাস করতো দিহান
- ধর্ষণের পর হত্যার শিকার সেই স্কুলছাত্রীর বয়স নিয়ে জটিলতা
- ‘দারোয়ান দেখেন রক্তাক্ত আনুশকাকে সোফায় শুইয়ে রাখা হয়েছে’
- যা পাওয়া গেলো দিহানের বাসার সিসিটিভিতে
জেবি
মন্তব্য করুন