রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তার দুই বন্ধুর পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন-মুর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীর (২১)। ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়া এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ সোমবার মহানগর আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সহকারী পুলিশের এএসআই ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার তাদের দুইজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন : ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
এদিকে গতকাল রোববার মামলাটির এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে রোববার চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নিহত তরুণীর বাবা। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গেলো ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।
আরও পড়ুন : মেয়েটিকে কয়েক দফা ধর্ষণ শেষে মার্কেটের দোতলায় আটকে রাখা হয়
মামলার এজহারে আরও বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল।
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার তরুণী মারা যান।
জেবি