টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। পরে বিয়ের দাবিতে ওই স্কুলছাত্রী প্রেমিক লিমনের বাড়িতে গেলে সে কৌশলে এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঘুরিয়া গ্রামে।
স্কুলছাত্রী জানায়, একই স্কুলে পড়ালেখার সুবাদে প্রায় তিন বছর আগে কালিহাতি উপজেলার ঘুরিয়া গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে লিমনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের জানুয়ারিতে প্রথম লিমন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এরপর থেকে প্রতিনিয়তই চলতে থাকে তাদের শারীরিক মেলামেশা। পাঁচ মাস আগে স্কুলছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হলেও বিষয়টি পরিবারের কাছে গোপন রাখে।
আরো পড়ুন : একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে লাদেল বললো মেয়েটি ভালো না
এদিকে দিন দিন তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। বিষয়টি নজরে আসে পরিবাবের লোকজনের। গেলো বৃহস্পতিবার তাকে শারীরিক পরীক্ষা করতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন সে অন্তঃসত্ত্বা। পরে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী প্রেমিক লিমনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাকে বিয়ে করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। এতে চরম বিপাকে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। পরে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাতে লিমনকে একমাত্র আসামি করে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত লিমনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুমি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে গতকাল রোববার রাতে কালিহাতি থানায় অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে প্রেমিক লিমনকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লিমন পলাতক রয়েছে।
জেবি
আরো পড়ুন : মায়ের ওপর রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর আত্মহত্যা