যুবলীগকর্মীকে হত্যা মামলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার আবদুস সাত্তারকে গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলাও গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
২০২০ সালে ১১ নভেম্বর কুমিল্লায় স্ত্রীর সামনে প্রকেশ্যে যুবলীগকর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী জিলানীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারছিল না পুলিশ। পরে মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পেলে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্তে গতি আসে। হত্যার ঘটনায় গত ২৬ জানুয়ারি মামলার ২ নম্বর আসামি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার আবদুস সাত্তারকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৩ দিনের রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে। এরই মধ্যে পিবিআই কমিশনার সাত্তারকে আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন।
পিবিআই কর্মকর্তাদের দাবি- ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা নগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শামবক্সি (ভল্লবপুর) এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডও কাউন্সিলর সাত্তার। ওই মামলাটিও তদন্ত করছে পিবিআই। একইসঙ্গে ওই মামলাটির তদন্ত এগিয়ে নিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার ৯ নম্বর আমলী আদালতে সাত্তারকে ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হত্যায়ও গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, প্রভাষক দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আবদুস সাত্তার। ওই কিলিং মিশনে অংশ নেয়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি আনোয়ার হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেলোয়ার হত্যা মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে নগরের শামবক্সি (ভল্লবপুর) এলাকায় সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে করে এসে ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ারকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় ওই গ্রামের রেজাউল করিম ও কাউছারসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। সদর দক্ষিণ মডেল থানার পর বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই কুমিল্লা। ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পিবিআইয়ের সদস্যরা এ মামলায় সদর দক্ষিণ থানার নোয়াগ্রাম গ্রামের সফিকুর রহমান রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
পিবিআই’র পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, যুবলীগকর্মী জিলানী হত্যা মামলার আসামি কমিশনার সাত্তার রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন। তাকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দেলোয়ার হত্যা মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদন মঞ্জুর করলে তাকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
এফএ