ঢাকাবুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

এবার সিলেটে ছাত্রদল নেতার ধর্ষণের শিকার তিন সন্তানের মা

সিলেট প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ০৭ মার্চ ২০২১ , ১১:২০ এএম


loading/img
এবার সিলেটে ছাত্রদল নেতার ধর্ষণের শিকার তিন সন্তানের মা

গত বছরের শেষের দিকে দলের নেতাকর্মীরা ধর্ষণকাণ্ড ঘটানোর দায়ে সিলেটে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের পর এবার তিন সন্তানের মাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। 

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী বিধবা নারী ওই ছাত্রদল নেতার ভয়ে স্বামীর ভিটে পর্যন্ত ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আশ্রয় নিয়েছেন বাবার বাড়িতে। তবে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমদ শিপু এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

আরও পড়ুন : নাবালককে ‘ধর্ষণ’ করে গর্ভবতী হলেন তরুণী

এর আগে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজ ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে স্বামীকে আটকে প্রাইভেটকারের ভেতর এক নববধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ওই রাতে নববধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয় ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যা ব। বর্তমানে তারা করাগারে আছেন।

আরও পড়ুন : নক্সাবন্দীর গোপন ৮ স্ত্রী, মামলা তুলে নিতে ৪র্থ স্ত্রীকে হুমকি!

এদিকে, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে কানাইঘাটে বোরকা পরে তিন সন্তানের মাকে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কানাইঘাট উপজেলার আগতালুক গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের আহমদ শিপু। ঘটনার দিন রাতে ধর্ষিতার ১১ ও ৮ বছর বয়সী দুই সন্তান তাদের নানার বাড়িতে ছিল। আর ভিকটিমের কাছে ছিল তার চার বছর বয়সী এক ছেলে।

বিজ্ঞাপন

ধর্ষণের পর শিপু ওই নারীর মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে যায় এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। পরদিন শিপু ওই নারীকে ফোন দিয়ে রাতে সে আবার আসবে বলে জানায়। বাধা দিলে তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। ফোন পাওয়ার পর ভয়ে ভিকটিম স্বামীর ভিটা ছেড়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।

আরও পড়ুন : দেশের অধিকাংশ জায়গায় আকাশ মেঘলাসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা

এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও এখনও অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমদ শিপুকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার পর থেকে সে গা ঢাকা দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপজ্যোতি জানান, জুবায়ের আহমদ শিপুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। সাংগঠনিকভাবে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। জুবায়ের আহমদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কানাইঘাট থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, ছাত্রদল নেতা শিপু বিধবা ঐ নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। শিপু ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পি
 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |