বরিশালে এক যুবককে আটকের পর হাতে ইয়াবা দিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অফিস কক্ষে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। অকারণে নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী যুবক মো. মারুফ সিকদারের। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো কিংবা নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার। অপরদিকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক।
অভিযোগকারীর ভিডিওতে দেখা যায়, হাতে হ্যান্ডকাফ পরিহিত যুবক মারুফের তুলে দেয়া হয়েছে কয়েক পিস ইয়াবা। নির্যাতনের এক পর্যায়ে পানি চাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। পাশেই লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার। ভিডিও ফুটেজ অনুসারে আব্দুল মালেক আটক মারুফ সিকদারকে এভাবেই নির্যাতন করেন। পুনরায় হয়রানির আশঙ্কায় নির্যাতিত যুবক খুব একটা মুখ খুলতে রাজি হননি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশালের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার আরটিভি নিউজকে বলেন, ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো কিংবা নির্যাতনের অভিযোগ সঠিক নয়। ৫ মাস আগের ঘটনা। তাকে নির্যাতন করা হয়নি, ভয় দেখিয়ে আরও তথ্য বের করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুণ্ডু বলেন, এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোড থেকে মারুফ সিকদার নামে ওই যুবককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল আটক করেছিল। সেই রাতেই তার উপর নির্যাতন চালিয়ে ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ঐ মামলায় মারুফ ১৭ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পায়।
জিএম/পি