ঢাকাবুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

‘এরশাদের মতো ঘটনা ঘটালে আত্মহত্যা করবো’

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১ , ০৫:৩৭ পিএম


loading/img
‘এরশাদের মতো ঘটনা ঘটালে আত্মহত্যা করবো’

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগে বেশকিছু বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। নির্বাচনের আগমুহূর্তে বসুরহাটের আওয়ামী লীগের রাজনীতির কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেন কাদের মির্জা। পরবর্তীতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পরও সেই বক্তব্য অব্যাহত রেখে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন কাদের মির্জা। এলাকাজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বে মাঝে নিহত হয় এক সাংবাদিক। কিন্তু এবার সেই কাদের মির্জা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুক লাইভে প্রায় ৩০ মিনিট বক্তব্য দেন।

বিজ্ঞাপন

ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা বলেন,, ‘আমি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, গত সংসদ নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে যেভাবে রাতের অন্ধকারে তার বাসা থেকে সিএমএইচে নিয়ে গেছে, অনুরূপ কিছু করার জন্য আজ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, ওনার স্ত্রীর প্ররোচনায়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি দেশবাসীকে জানিয়ে দিচ্ছি, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমি সঙ্গে সঙ্গে আত্মহত্যা করব। আমার ওপর যদি কিছু ঘটাতে আসেন, আমি বলে দিচ্ছি আমি আত্মহত্যা করবো। আমি কোনো অসত্যের কাছে মাথা নত করব না।’

বিজ্ঞাপন

কাদের মির্জা প্রশ্ন রাখেন, ‘কী করবেন? মেরে ফেলবেন? জেলে দেবেন? লাঞ্ছিত করবেন? আর কী বাকি আছে? দুই হাজার গুলি একতরফা আমার পৌরসভায় করেছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনার লেলিয়ে দেওয়া ফেনীর নিজাম হাজারী (সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী), নোয়াখালীর একরাম চৌধুরী (সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী), বাদইল্লার (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক) নেতৃত্বে এখানকার সব জাসদ, দুই হাজার গুলি আমার পৌরসভায় করেছে।’

সেতুমন্ত্রীর ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘সব শিয়ালের এক ডাক। ঢাকা থেকে আরম্ভ করে আমার এলাকা পর্যন্ত। আজ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে অনেকভাবে। আজ আল্লাহ, দলের কিছু ত্যাগী নেতা–কর্মী এবং সাধারণ মানুষ ছাড়া কেউ আমার সঙ্গে নেই। আমার সত্যবচনের পর আস্তে আস্তে অনেকেই আমার কাছ থেকে সরে গেছেন। এ জন্য আমি আতঙ্কিত নই, আমি আরও উজ্জীবিত হচ্ছি। যারা অস্ত্রবাজির সঙ্গে জড়িত, টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত, যারা গরিব ভূমিহীনের জমি দখল করেছেন, তারা আজ কেউ আমার সঙ্গে নেই।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যা করার করবেন, ‘দেরি করছেন কেন? পুলিশ দিয়ে আমার ছেলেদের বাড়িতে বাড়িতে অত্যাচার, অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে মামলা দিচ্ছেন। ওবায়দুল কাদের এবং তার স্ত্রী বলে দিয়েছেন প্রশাসনকে, যে তার (কাদের মির্জা) সঙ্গে যাতে চতুর্দিকে একটা লোকও না থাকে, সে ব্যবস্থা করো।’ কাদের মির্জা বলেন, ‘এটা কী দেশ? কী আইন? কোথায় গিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা? আজ কি বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্থা নেই? বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা আজ কোথায়? এটা আমি প্রশ্ন করতে চাই।’

এফএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |