ঢাকাশুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কিভাবে কাটবে তারকাদের পহেলা বৈশাখ

আফজাল হোসেন

বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭ , ১২:৫১ পিএম


loading/img

পুরনো জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে কল্যাণের সানাই বাজাতে বাজাতেই আগমন ঘটে বৈশাখের। ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’।

বিজ্ঞাপন

পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা মুছে দিয়ে জীবনে নতুন সম্ভাবনার শিখা জ্বালাতে ক’দিন পরেই আবির্ভূত হবে ১৪২৪। 

একটি নতুন দিন, একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। আর এই বৈশাখ নিয়ে সাধারণ মানুষের মতো তারকাদেরও রয়েছে অনেক পরিকল্পনা।

বিজ্ঞাপন

শোবিজ তারকারা কিভাবে কাটাবেন তাদের পহেলা  বৈশাখ, সে ভাবনার কথাগুলো তুলে ধরা হলো।


বিদ্যা সিনহা মিম
এখন পর্যন্ত পহেলা বৈশাখ নিয়ে কোনোরকম পরিকল্পনা করিনি। কারণ শুটিং-ডাবিং আর চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে এতই ব্যস্ত সময় যাচ্ছে আমার যে পরিকল্পনা করার সময় পাচ্ছি না। তবে ইচ্ছে আছে, বাঙালির বিশেষ এই দিনটিকে ভালোভাবে উদযাপন করার। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেল তানিয়া আহমেদের ‘ভালবাসা এমনই হয়’। কাজ করছি সৈকত নাসিরের ‘পাষাণ’ ছবিতে।

তবে, সবার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের আনন্দটা ভাগাভাগি করে নেব। সামনে ব্যস্ত থাকবো মনতাজুর রহমান আকবরের ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’, তারেক শিকদারের ‘দাগ’, আর তেলেগু নায়ক অরিন্দমের সঙ্গে ‘রকি’ ছবির কাজ নিয়ে। যাই হোক বাবা, মা এবং বোনকে নিয়ে এবারের পহেলা বৈশাখ যেন ভালোভাবে কেটে যায় সেই দোয়া চাই সবার কাছে।

বিজ্ঞাপন
Advertisement

অভিনেতা সজল
গত বছর পহেলা বৈশাখে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এবারও তাই হবে। প্রতিদিনের মতো সে দিনও শুটিং এর কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। নাটকের শুটিংয়ের মধ্যদিয়েই আমার পহেলা বৈশাখ কেটে যাবে। তবে ইচ্ছে আছে, পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ খাওয়ার। জানি না, ইচ্ছে পূরণ হবে কিনা। তবে ইচ্ছে আছে অন্তত কিছুটা সময় যেন বৈশাখী আমেজে কাটে।

চিত্রনায়িকা নিপুণ
বাংলা বছরের প্রথম দিনে পরিবার ও কাছের মানুষদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে চাই। ছোটবেলায় বৈশাখ বলতেই বুঝতাম মেলা। সারাদিন মেলায় ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এখন আর সেভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার সুযোগ মেলে না। তাই বলে তো আর উৎসব থেমে থাকে না। তাই বৈশাখের প্রথম দিনটিতে সবার মতো আমিও ঘুরে বেড়াব। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের আয়োজনে যোগ দেব।
নুসরাত ইমরোজ তিশা
মনে হচ্ছে পহেলা বৈশাখেও শুটিং করতে হবে। তাই অন্যান্য দিনের মতো এদিনটিও লাইট ক্যামেরা আর অ্যাকশনের সঙ্গে বসবাস করতে হতে পারে। তবে সকালবেলা বৈশাখী সাজে শুটিং ইউনিটে হাজির হবো। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে সবার সঙ্গে হই-হুল্লোড় আর মজা করে দিনটি কাটাব। সেই সঙ্গে থাকবে পান্তা ইলিশের ব্যবস্থা।

আবুল হায়াত
আমার ছোটবেলা কেটেছে চট্টগ্রামে। ছোটবেলার পহেলা বৈশাখ ভীষণ মজার ছিল। পহেলা বৈশাখ এলে বন্ধুরা মিলে ‘বিচিত্রা’ অনুষ্ঠান করতাম। সে অনুষ্ঠানে চৌকির ওপর মঞ্চ বানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতাম। আমি অভিনয় করতাম। আমাদের সে প্রোগ্রামে দর্শকের সংখ্যা নেহায়েত কম ছিল না। তারপর হালখাতা অনুষ্ঠান, পহেলা বৈশাখের মেলাতে বন্ধুরা মিলে কত মজা করতাম। সেসব দিনগুলোর কথা ভীষণ মনে পড়ে। ঢাকায় থিতু হওয়ার পর পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ধরন পাল্টে গেল। রমনা বটমূলের আয়োজনে নিয়মিত যেতাম। সেখানে সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হতো। তাদের সঙ্গে আড্ডা, গান আর নানা আয়োজনে সকাল গড়িয়ে দুপুর হতো। তারপর ঘরে ফিরতাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি কেমন ঘরকুনো হয়ে উঠলাম। রমনাতে এখন এত মানুষের ভিড়! ইচ্ছা থাকলেও যেতে পারি না। এবার ঘরে বেশ জম্পেশ আয়োজন করা হয়েছে। সবার সঙ্গে গল্প, আড্ডা আর গানে দিনটি কাটিয়ে দেব।

আরকে/এএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |