বিভিন্ন কারণে স্থগিত সারাদেশে একশ’ ৫৫টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট চলছে। রোববার সকালে ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বরগুনা তালতলী উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ৪৫টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হচ্ছে। মোট ভোটার ৫২ হাজার ৪শ’ ৭৪ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫১জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১শ’ ৭৪ জন প্রার্থী লড়ছেন।
ভোলায় দু’উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ভোট চলছে। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ও ঘিওর এবং দৌলতপুর উপজেলার একটি করে ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ভোট চলছে।
এর আগে হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ ও ঘিওর এবং দৌলতপুর উপজেলার একটি করে ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন করতে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মীনার হোসেন চৌধুরীসহ স্বতন্ত্র পদে আরো দু’প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়াও তিনটি সংরক্ষিত নারী আসনে মোট ৯ জন এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে মোট ৩১ জন প্রার্থী রয়েছে। এ ইউপিতে মোট ভোটার রয়েছে ৭ হাজার ৮৬৯ জন।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়ন পরিষদ, একই উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনের ভোট চলছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, সাধারণ নির্বাচন হবে ৫৫টি ইউপিতে, উপ-নির্বাচন ১০২টি ইউপিতে এবং বন্ধ ঘোষিত ও মামলাজনিত বা অন্য কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া ১৭টি ইউপিতে ভোট চলছে।
নির্বাচন কমিশনের উপসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান শনিবার বলেন, তফসিল ঘোষণার সময় ১৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে ১৮টা ইউপিতে ভোট হচ্ছে না।
শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জানিয়েছে, এসব ইউপিতে সুষ্ঠুভাবে ভোট শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
নিবার্চন কমিশনের এ সংক্রান্ত পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ইউপিতে পুলিশ-এপিবিএন-ব্যাটালিয়ন আনসারের ২টি মোবাইল টিম, বিজিবি ১ প্লাটুন, র্যাব ১ প্লাটুন এবং উপকূলীয় এলাকার ইউপিতে কোস্ট গার্ড ১ প্লাটুন রাখা হচ্ছে। ভোটের আগের দুইদিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন মোট চার দিনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে। এছাড়া বন্ধ ঘোষিত ভোট কেন্দ্রগুলোতেও পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
আরকে/এসএস
