এক বছর আগে মারা গেছেন মো. জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি। নিহত ওই ব্যক্তির নামে রয়েছে দু’টি জেলে নিবন্ধন কার্ড। আসল-নকল দু’টি কার্ডই চাল নিতে আসে ইউনিয়ন পরিষদে। শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদে।
জানা গেছে, চলমান ৬৫ দিনের অবরোধ পালনের জন্য জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করছে ইউনিয়ন পরিষদ। এসময় ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের মো. জাহাঙ্গীরের নামে দু’টি জেলে নিবন্ধন কার্ড জমা হয়। তখন আসল-নকল যাচাই-বাছাই করার সময় জানাজানি হয় জেলে মো. জাহাঙ্গীর এক বছর আগে মারা গেছেন।
কার্ড নিয়ে চাল সংগ্রহ করতে আসা রাসেল বলেন, আমি নিজের নামের চাল নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য গাড়ি খুঁজছিলাম। এমন সময় ইউপি সদস্য মো. আলম ফকির আমাকে কার্ডটি দিয়ে চাল সংগ্রহ করতে বলেছেন। আমি জাহাঙ্গীরকে চিনি না এবং মারা গেছেন তাও জানি না।
ইউপি সদস্য আলম ফকির বলেন, আমি ওকে কার্ড দেইনি। কোথায় থেকে এনেছে জানি না। এটা আমার প্রতিপক্ষের চক্রান্ত। আমি কোনো জেলের মূল নিবন্ধন কার্ড উত্তোলন করিনি। আমাকে সবাই ফটোকপি দিয়েছে। মূল কার্ড চেয়ারম্যানের হাতে দিয়ে জেলেরা চাল নিচ্ছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মো.আনছার উদ্দিন বলেন, আমি জানতে পেরেছি লতাচাপলী ইউনিয়নে জেলে নিবন্ধনের বেশ কিছু নকল কার্ড বানানো হয়েছে। ওই সমস্ত নকল কার্ড বাদ দেয়ার জন্য আসল কার্ড জমা নিয়ে চাল বিতরণ করছি। মৃত জেলেদের নাম তালিকায় চিহ্নিত করা হলেও ভুল বশত জাহাঙ্গীরের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ১নং ওয়ার্ডের চাল বিতরণের সময় এক মহিলা জাহাঙ্গীরের কার্ড নিয়ে আসেন। কার্ডটি দেখে আমার কাছে নকল মনে হয়। এসময় ইউপি সদস্য আলম ফকির কার্ডটি বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে বলে চাল দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন। আমি কার্ডটি আলাদা রেখে চাল দিয়েছি। আজ (শুক্রবার) জাহাঙ্গীরের আসল কার্ডটি নিয়ে খাজুরা এলাকার রাসেল নামের এক যুবক চাল নিতে আসেন। তখন আসল নকল যাচাই বাছাই করার সময় জানতে পারি জাহাঙ্গীর এক বছর পূর্বে মারা গেছেন। রাসেল আমার কাছে স্বীকার করেছেন ইউপি সদস্য আলম ফকির কার্ডটি জমা দিয়ে চাল ছাড়াতে বলছেন।
এসজে/এসআর/