বর্ষা মৌসুমে তীব্র পানি সংকটে পড়েছেন যশোর পৌর এলাকার মানুষ। চাহিদা অনুযায়ী পানি পাচ্ছেন না পৌরবাসী। প্রতিদিন বিকাল পাঁচটার পর পানি পাওয়া যাচ্ছে না। খরা মৌসুম এলেই নামতে শুরু করে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে প্রতি বছরই দেখা দেয় পানির জন্য হাহাকার। বর্ষা ও করোনার এই মহামারির ভেতর পানির সকংট যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে যশোরবাসীর কাছে।
পৌরবাসী আরটিভি নিউজকে বলেন, সাপ্লাইয়ের পানির এ সমস্যা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার জানালেও কোনো সমাধান মেলেনি। বর্তমান মেয়রও এ সমস্যার সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
পৌর কর্তৃপক্ষ আরটিভি নিউজকে জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের পাম্প। জরাজীর্ণ পাম্পের কারণে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ সমস্যা কবে সমাধান হবে তাও বলতে পারছেন না তারা। তবে আরও বলছেন, ঠিকমত পানি উঠছে না। এদিকে, পানি না পাওয়ায় মানুষ মাগরিবের নামাজসহ নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করতে পারছেন না।
পৌরবাসী আরটিভি নিউজকে বলছে, শুল্ক মৌসুমে যশোর পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকায় এমনিতেই পানির সংকট থাকে। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুম। এসময় পানি না পাওয়া যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন বিকাল পাঁচটার পর পানি জন্য পৌরসভার লাইন আর পানি পাওয়া যায় না। এতে করে মাগরিবের নামাজ আদায়কারী মুসল্লিরা পড়েছে সবচেয়ে বড় সমস্যা। পানির অভাবে অনেকে ওজু করতে পারছে না। যে কারণে অনেকেরই নামাজ আদায় বন্ধ হয়ে গেছে।
মুসল্লিরা অভিযোগ করছেন, পানির জন্য পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের ফোন করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেন না। এমনকি মেয়র সাহেবকে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
শহরের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল জলিল আরটিভি নিউজকে বলেন, পানি হচ্ছে মানুষের জীবন। সব সময়ই পানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু পৌরসভা পানি সরবরাহ করছে না। সন্ধ্যায় মাগরিবে নামাজ অনেকেরই বন্ধ হয়ে গেছে। কারো কাছে অভিযোগ করার জায়গা নেই।
পানির কষ্ট জীবনযাপন করছে পৌরবাসী। শহরের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দার রহমান নামে এক পৌরবাসী জানান, পানির খুব কষ্ট। যারা বাসা-বাড়িতে ভাড়া থাকে তারা অনেকেই পৌরসভার সাপ্লাই পানির ওপর নির্ভর। এই পানিতেই তাদের গোসল, রান্নাবান্না চলে। কিন্তু পৌরসভা ঠিকমতো পানি দিচ্ছে না। যে কারণে পানি সকংট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ পানির সমস্যা সমাধানে যেন কেউই নেই।
যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হয়। একটানা পাম্প চলে। মেশিন বেশি সময় চললে তারও বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা বিকাল ৫টা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করছি। আগে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হতো এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না। পৌরবাসী আমাদের ৫টা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করতে বলেছে। আমরা সেই ভাবে পানি সরবরাহর সময় ঠিক করেছি।
এমআই