এক সময় স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি সবই ছিল, লেখাপড়াতেও মেধাশক্তি ছিল প্রবল। তেলোয়াত করতে পারতো কোরআন শরীফও। বলছি, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নুর নগর গ্রামের রুস্তম আলীর চার মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মেয়ে রেনুকার কথা। আট বছর আগে লেখাপড়া করা অবস্থায় অসুস্থ হলে দিনমজুর বাবা সঠিক চিকিৎসা করাতে না পারায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে রেনুকা। তখন থেকেই জীবন বাঁধা শিকলে।
রুস্তম আলীর তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন গ্রামের মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে। আশা ছিল ছোট মেয়ে রেনুকাকে লেখাপড়া করিয়ে মানুষ করবেন। আট বছর আগেই সে আশায় গুড়ে বালি!
-
আরও পড়ুন... আজ বন্ধ থাকছে ব্যাংক-শেয়ারবাজার
এলাকাবাসী আরটিভি নিউজকে জানান, রেনুকার বয়স যখন ১৪ বছর, তখন সে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। হঠাৎ সে অসুস্থ হলে তার বাবা প্রাথমিক চিকিৎসা করালেও অর্থাভাবে করাতে পারেননি উন্নত চিকিৎসা। চিকিৎসার অভাবে মেয়েটি হয়ে পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। তখন থেকেই তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। তবে এখনও সুচিকিৎসা করা হলে ভালো হতে পারে রেনুকা।
রেনুকার বাবা আরটিভি নিউজকে জানান, মেয়েটির এমন সমস্যায় আট বছরেও এগিয়ে আসেনি কোনো জনপ্রতিনিধি থেকে সরকারি কর্মকর্তার কেউই। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েটি এখন আমার গলার কাটা। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেলে মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসা করে বিয়ে দিতে পারি।
ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সাত্তার আরটিভি নিউজকে জানান, বড় কোনো বরাদ্দ না থাকলেও তার পরিবারকে সাধ্যমত সরকারি সুবিধা দেয়া হয়েছে।
-
আরও পড়ুন... বিকল্প পরিবহনে ঢাকায় ফিরছে শ্রমজীবীরা
গরিতে ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া যাবে।
পরিবার এবং এলাকাবাসী মনে করেন রেনুকার চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসবেন সরকারি কর্মকর্তা কিংবা সমাজের বিত্তবান মানুষরা। আর শিকলে বাঁধা জীবন থেকে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে রেনুকা, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
এসআর/