কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর চতুর্থ দিন (১৪ আগস্ট) দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৪ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও যাত্র্রীবাহী বাস। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও গাড়িচালকরা।
পদ্মায় তীব্র স্রোত ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল সীমিত করায় এই রুটে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ বেড়েছে। ফলে ফেরি পারের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘাটে আসা যানবাহনগুলোকে।
শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করছে শত শত যানবাহন। এইসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। রাত থেকেই ট্রাক ঘাট এলাকায় আটকে আছে।
দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২০০ যানবাহন পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়ছে চালক ও চালকের সহকারীরা। যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীদের মধ্যে নারী-শিশুদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে কল্যাণপুর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ২০০ অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাককে আটকে রাখা হয়েছে।
এই সব ট্রাক চালকরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের খাওয়া-দাওয়া, গোসল, বাথরুম করার জায়গা নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই। রাস্তায় দিনের পর দিন আটকে থাকতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকায় তারা সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারছি না।
ঘাটে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের এক পরিদর্শক বলেন, পদ্মা নদীতে এখন স্রোত বেড়েছে। পাশাপাশি ফেরিস্বল্পতার কারণে ঘাটে চাপ পড়েছে। সেই সঙ্গে অন্য রুটের গাড়িও এই রুটে আসছে। সব মিলিয়ে এই যানজট তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ট্রিপ সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। ফলে ঘাটে গাড়ির চাপ বাড়ছে।
এমআই