নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাওয়া আসামিদের ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিয়োগের আদেশ আসছে ১৫ মে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল আবেদন হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আনা হয়েছে। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক রাজু। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।
গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনসহ আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামিদের বিচারিক আদালতের করা জরিমানা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
গেলো ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন।
অন্যদিকে গেলো ৭ মে হাইকোর্টে শুনানির জন্য তৈরি করা প্রায় ৬ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দু’টি মামলা করেন।
গেলো ১৬ জানুয়ারি ৭ খুন মামলায় সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয়।
এইচটি/জেএইচ