টাঙ্গাইলের মধুপুরের অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে আদিবাসী গণমাধ্যমকর্মী প্রিন্স এডুওয়াড মাংসাংকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতন করে উল্টো গণমাধ্যমকর্মী প্রিন্স এডুওয়াড মাংসাংকের বিরুদ্ধেও আবার মামলা করা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহার ও নির্যাতনের প্রতিবাদ ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের অপসারণ দাবি করে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আদিবাসী বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রিন্স এডুওয়াড মাংসাং পাক্ষিক প্রাইভেট ডিটেকটিভ, দৈনিক নবতান ও স্বাধীন বাংলা নিউজ টিভিতে কাজ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স এডুওয়াড মাংসাং লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন, গত ১৮ আগস্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমের বাড়ির পাশে হাওলা বিলের পানিতে দুই শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে- এমন খবরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার আগে আমি একাধিক সংবাদকর্মীকে বিষয়টি জানিয়েছি।
ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্রই চেয়ারম্যান আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় চেয়ারম্যানের নির্দেশে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবীর বর্মন দৌঁড়ে এসে আমাকে মারতে থাকে। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান নিজেই লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে। এসময় ক্যামেরা, মোবাইল, ক্যামেরা স্ট্যান্ড, মাইক্রোফোন, টাকা, আইডি কার্ড, মোটরসাইকেলের কাগজপত্র জোরপূর্বক কেড়ে নিয়েছে আমার কাছ থেকে। মোটরসাইকেলটিও ভাংচুর করা হয়। এক পর্যায়ে আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আয়নাল, জয়নাল, সিদ্দিক, বাচ্চু মিয়া, সোহেলসহ ১৫-১৬ জন মিলে নির্যাতন করে।
ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিয়ে সেখান থেকে আমাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এরপর আমিসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে আমি জামিনে রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মধুপুর থানায় মামলা না নেওয়ায় গত ৩১আগস্ট চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আরও তিনজন ইউপি সদস্য রয়েছেন। মামলাটি তদন্ত করতে আদালতের বিচারক সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এমআই