পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৮ বারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্র সম্পাদক মজিবুর রহমান দুলু। ছোট ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছেন বলে জানান গেছে।
বড় ছেলে দেশের বাইরে থাকায় ছোট ছেলে ও তার স্ত্রীর সাথেই থাকতেন খ্যাতিমান এই চিত্র সম্পাদক। বড় ছেলের অবর্তমানে সব সম্পত্তি ছোট ছেলের নামে লিখে দিতে দীর্ঘদিন যাবত মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো পুত্র ও পুত্রবধূ। ছোট ছেলের এরকম অনৈতিক আবদার ও চাপে রাজী না হওয়াতেই দেশবরেণ্য এই চিত্র সম্পাদককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে ছেলে ও ছেলের বউ। এমন সব তথ্য জানিয়েছেন মজিবুর রহমান দুলুর প্রতিবেশিরা।
তারা আরও জানায়, নির্যাতনের নির্মমতায় তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ছেলে ও ছেলের বউ অন্যরুমে চলে যায়। তখন প্রতিবেশিরাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মজিবুর রহমান দুলুকে দেখতে তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে যায় দীর্ঘদিনের সহকর্মী আবু মুসা দেবু। হাসপাতাল থেকে ফিরে দেবু জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও অবহেলা আর অনাদরেই আছেন মজিবুর রহমান দুলু। ছেলে ও ছেলের বউ হাসপাতালে গিয়ে কাউকেই তিনি পাননি। এ নিয়ে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান। সেই সঙ্গে ছেলে ও ছেলের বউয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ‘নয়ন মনি’ ছবির মধ্য দিয়ে নিজের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন মজিবুর রহমান দুলু। পরবর্তীতে ‘সুজন সখী’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘অভাগী’, ‘নাত বৌ’, ‘প্রান সজনি’, ‘ভাত দে’, ‘তিন কন্যা’, ‘ভেজা চোখ’, ‘সত্যমিথ্যা’, ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘বাংলার বধু’, ‘মেঘলা আকাশ’, ‘নাগর দোলা’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘৭১ এর মা জননী’ সহ চাহিদার নিরীখে প্রায় তিন শতাধিক ছবিতে সম্পাদনার কাজ করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।
আরটিভি/এএ