বরগুনার তালতলীতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরার পর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে ওই নারী। পরকীয়া প্রেমিক চার সন্তানের জনক (৫৫)।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায় উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তেতুলবাড়িয়া এলাকার মৃত গয়জদ্দি হাওলাদারের পুত্র মুদি ব্যবসায়ী মো. খলিল (৫৫) এর সাথে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের গেন্ডামারা গ্রামের এক জাহাজ শ্রমিকের স্ত্রী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয় । খলিলের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইলে ডেকে নিয়ে গৃহবধূকে দোকানের পিছনের রুমে লুকিয়ে রাখে। সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে দোকানের পিছনের রুমে গেলে মহিলাদের কথার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা সন্দেহ করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে তালতলী থানার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ নারীর অভিযোগে খলিলকে থানায় নিয়ে আসে।
গৃহবধু জানান আমার স্বামী জাহাজে কাজ করে, গত কিছুদিন পূর্বে খলিলের সাথে মোবাইলে পরিচয় হয়। গতকাল আমাকে তার বাড়িতে বেড়াতে যেতে বললে আমি তার বাড়ি বেড়াতে যাই। তারপর রাতে খলিল আমায় ধর্ষণ করে। এ সময় আশেপাশের মানুষের লাইটের আলো দেখে খলিল দরজা খুলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।
রাতেই এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয়রা চেস্টা করে। খবর পেয়ে সংবাদ কর্মীরা গেলে তাদেরও ম্যানেজ করার চেস্টা করে। এ সময় বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়। গৃহবধুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তালতলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই খলিলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ধর্ষণের শিকার গৃহবধু বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের কারেছেন। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামিকে আটক করা হয়। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমএন