পাটুরিয়া ঘাটে হেলে যাওয়া ফেরিতে নিমজ্জিত সব গাড়িই উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায়। তবে নদীতে পড়ে রয়েছে হেলে যাওয়া ফেরি আমানত শাহ। কবে, কীভাবে ফেরি উদ্ধার হবে, কিংবা আদৌও ফেরি উদ্ধার হবে কি না, অথবা ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করা হবে কি না, সে-সংক্রান্ত কোন তথ্য জানাতে পারেনি উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা।
রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে পাটুরিয়া ঘাটে এসে দেখা গেলো উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা পাটুরিয়া ঘাটের পাঁচ নম্বর পন্টুন এলাকায় এবং রুস্তম চার নম্বর পন্টুন এলাকায় বসে রয়েছে। উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তাকেই ঘাট এলাকায় পাওয়া যায়নি।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান আরটিভি নিউজকে বলেন, উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা ঢাকায় রয়েছেন। দুপুরে বিআইডব্লিউটিসি’র প্রধান কার্যালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভায়, ফেরি উদ্ধারে করণীয়-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শিবালয় থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) ফিরোজ কবীর আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, উদ্ধার করা গাড়িগুলোকে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
এ ছাড়া এই দুর্ঘটনার কারণে পাটুরিয়া ঘাটের চার নম্বর পন্টুনের একটি এবং পাঁচ নম্বর পন্টুনের দুটি পকেট বন্ধ থাকায় ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে গেছে। ফলে ঘাটে আটকা পড়েছে পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। একই অবস্থা রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের ফেরি উদ্ধার হলেই এই সংকট দূর হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমআই/টিআই