ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ইউপি নির্বাচনের প্রচারণায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ২০ জন।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডাউটিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, সোমভাগ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের কর্মী রাহিম (২০), শুভ (২৩), অন্তর (১৯), নহিদ (২২), মোবেত আলী (৫৫), জুয়েল (২৪) ও আব্দুর রউফসহ (৫০) ২০ জন, মো. বাবুল হোসেন (২২)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রচারণা শেষ করে ডাউটিয়া এলাকা দিয়ে আসছিলেন সোমভাগ ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক মোহাম্মদ আওলাদ হেসেনের কর্মী-সমর্থকরা। পরে তাদেরকে পেছন থেকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাহার আলীর কর্মী ভিপি শামীম, শিমুল ও কবিরের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এ সময় প্রায় ২০ জন আহত হন। এদের মধ্যে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত অন্তর বলেন, শামীম ও কবিরের নেতৃত্বে একটা বাহিনী তৈরি করেছে। তারা একটি গাড়িতে সব সময় লাঠিসোঁটা রাখে। নির্বাচনী প্রচারণায় বের হলেই গাড়ি নিয়ে প্রচারণায় হামলা চালায়। তার শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, আমাদের প্রচারণা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ডিসি মহোদয় বলে গেলেন নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আচরণবিধি মেনে প্রচারণায় বের হয়ে শুধু মার খাচ্ছি। আমি তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজহার আলী আরটিভি নিউজকে বলেন, আমি খুব ব্যস্ত আছি। আপনারা পরে ফোন দেন।
ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আরটিভি নিউজকে বলেন, আমার চোখে আহত কেউ পড়েনি। এক চাচা দৌড় দেওয়ার সময় পানিতে পড়ে ভিজে গেছে। আর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।
জিএম/এনএইচ
