পাবনার বেড়া পৌরসভার মেয়র পদে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীক ও বিদ্রোহী প্রার্থীর (নারিকেল গাছ) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাতে পৌরসভার হাতিগাড়া চৌরাস্তা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের উদ্ধার করে বেড়ার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, নৌকার সমর্থক মুন্নাফ, আল মাহমুদ, আরিফুল, শাহাদত প্রামানিক, মিলন ফকির, ফারুক খান, শাহিন খাঁ, দুলাল প্রমানিক। অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, মেয়র পদে ৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও একজন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বর্তমান ৫ জন প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জনই স্থানীয় সংসদ সদস্য, যারা শামসুল হক টুকু পরিবারের সদস্য। ভোটের মাঠে তাদের লড়াই শুরু হয়ে গেছে।
তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া এস এম আসিফ শামস রঞ্জন শামসুল হক টুকুর ছেলে, মো. আব্দুল বাতেন টুকুরব আপন ভাই ও এস এম সাদিয়া আলম টুকুর আপন ভাতিজি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পরে নৌকার ও বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা মিছিলে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় আহত হলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একই সঙ্গে কয়েকটি নির্বাচনী অফিসও ভাঙচুর করা হয়।
নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসিফ শামস রঞ্জন আরটিভি নিউজকে জানান, বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাতে বেড়া পৌরসভার নির্বাচনী প্রচারণার লক্ষে তার সমর্থকেরা একটি মিছিল বের করে হাতিগাড়া চৌরাস্তা মোড়ে পৌছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে নারিকেল গাছ মার্কার প্রার্থী আব্দুল বাতেন ও তার সমর্থকরা আরেকটি মিছিল নিয়ে আসে এবং অতর্কিত হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে আব্দুল বাতেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আরটিভি নিউজকে বলেন, নৌকা প্রার্থী জনবিচ্ছিন্ন হয়ে একেরপর এক মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। আমাদের প্রচারণা মিছিলে নৌকার লোকজন হামলা করে। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে এমন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
বেড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার আরটিভি নিউজকে বলেন, দুটি মিছিল মুখোমুখি হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান আরটিভি নিউজকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা সবাইকে বলছি। কোনো প্রকার সহিংসতা না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তাহলে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিএম/এসকে