ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান ও সাবেক দুই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের (মেম্বার) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভোট শেষের ১৬ দিন পর একই দিন সকালে হামেরদী ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুনসুরাবাদ গ্রামে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়।
জানা গেছে, হামিরদী ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার বাবর আলী। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাবর আলীকে ৮৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেম্বার হন একই গ্রামের আলম মোল্লা। দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা বিরোধ তিব্র আকার ধারণ করে আলম মোল্লার কাছে বাবর আলীর পরাজয়ের পর। এ ছাড়া নির্বাচনের পর আলম মোল্লার পক্ষের কয়েক ব্যক্তি বাবর আলীর পক্ষে যোগ দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষে নব নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলম মোল্লার পক্ষের আলমগীর মোল্লা (৩৯), হাসি বেগম (২৮), মজিবর রহমান (৫৩), ইদ্রিস মিয়া (৫৪), সাগর মোল্লা (৩২), শেখ নান্নু (৫২), চুন্নু ফকির (৫৮) ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলীর পক্ষের ফারুক মাতুব্বর (২৫), ইয়াছিন মাতুব্বর (৪০), একলাস মিয়া (৩০), শেখ মওদুদ আহমেদ (২৫), মো. সোহেল (২৬), ইব্রাহীম মাতুব্বর (৩৭), আবু বক্কর (৬৩), লালন মাতুব্বর (২০), সরফুদ্দিন শেখ (৩৬) আহত অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
সাবেক মেম্বার বাবর আলীর অভিযোগ, মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বর্তমান মেম্বার আলম মেম্বার, জাহিদ মোল্লা, নাঈম মোল্লা, বাবলু মোল্লা, ছাইদুর মোল্লা তাদের কয়েক শ’ লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালান। বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুরের এক ছেলে পুলিশে ও আরেকজন সচিবালয়ে চাকরি করেন। তারা কর্মস্থলে থাকায় বাড়িতে শিশু ও নারীরা ছিল। তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে গেলে তাদের বাড়িতেও তারা হামলা চালায়। একপর্যায়ে গ্রামের মধ্যে তিনটি স্পটে সংঘর্ষ হয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে লোকজন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলে ফাঁকা বাড়িঘরে লুটপাটও চলে। পরে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খোকন মোল্লা ও থানা পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে হামিরদী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলম মোল্লা বলেন, গতকাল রাতে আমার মামা আমাকে বিপরীত পক্ষের সঙ্গে মির করিয়ে দেন।
ভাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র জানান, এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জিএম/এসকে