‘ভাত চাই না বেড়িবাঁধ চাই, ত্রাণ চাই না টেকসই বাঁধ চাই, আশ্বাস নয় বাস্তবায়ন চাই, ভিটেমাটি নিয়ে বাঁচতে চাই’ এই আক্ষেপে ভারী হয়েছে পদ্মাপাড়ের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি এলাকার বাসিন্দাদের।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দির পদ্মা নদীর পাড়ে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জাজিরা উপজেলার ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত তিন বছরে জাজিরা পদ্মা সেতুর জিরোপয়েন্ট থেকে নড়িয়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটারে সহস্রাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পদ্মা নদীর গর্ভে চলে গেছে। মাথা গোজার ঠাঁই না থাকায় অনেকেই অন্যের জায়গায় থাকছেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভাত চাই না, ত্রাণ চাই না, বেড়িবাঁধ চাই। আমাদের খাবারের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে না। বাপ-দাদার সম্পত্তি যাতে রক্ষা করতে পারি, সেজন্য টেকসই বেড়িবাঁধের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে।
রমজান ছৈয়ালেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা চাঁন মিয়া সিকদার বলেন, গেল তিন বছরে আমার কয়েকবারে ১০০ বিঘা বসতবাড়ি, জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। আমি এখন সব হারিয়ে পথে বসেছি। তাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ভাইর কাছে দাবি, আগামী বর্ষার আগে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, পদ্মা সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে নড়িয়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পেলে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করা হবে।
এ সময় আমিনুল ইসলাম সেন্টু ছৈয়ালের সার্বিক সহযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন লুৎফর রহমান খলিফা, চাঁন মিয়া সিকদার, মেম্বার করিম মাদবর, আবুল কালাম ছৈয়াল, জলিল ছৈয়াল, আনোয়ার ছৈয়াল, ইকবাল মাঝি, নুরুল হক ছৈয়াল, সেলিম ব্যাপারী প্রমুখ। মানববন্ধনে উপজেলার সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
জিএম/টিআই