ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার (২০) ও তার বোন নার্সিং ডিপ্লোমা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তা আক্তার (২১) বিপদের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে তিনজনকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে বাঁচিয়েছেন।
তখন লঞ্চটি চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে। বড়দিনের ছুটিতে মুক্তা আক্তার, চাচাতো বোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও বোনের ছেলে শিশুসন্তান নিয়ে বরগুনা জেলার বামনা গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে লঞ্চের আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনায় তারা মানসিকভাবে ভীত হয়ে পড়ে। কিন্তু এরমধ্যে বাঁচার জন্য দৃঢ় মনোভাব নিয়ে মুক্তা আক্তার লঞ্চের পাশে চলে আসে এবং এক পর্যায়ে পানির মধ্যে পাড় আছে ভেবে ঝাঁপ দেয়। এ সময় তার কোল থেকে শিশু রুমান পড়ে যায়। ঝাঁপ দেওয়ার পরে সে পায়ে মাটি পায়। পরবর্তীতে হাত থেকে ফসকে যাওয়া শিশুটিকে তুলে আনেন। এ সময় আরও কিছু লোক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। তবে দুজনেই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।
মুক্তা আক্তার বামনা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের মেয়ে এবং ফাতেমা আক্তার ঢাকার কেরানীগঞ্জের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। রুমান (৮) তার বোনের সন্তান। তারা সকলে ছুটিতে মুক্তা আক্তারের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।
মুক্তা আক্তার বলেন, জীবন ফিরে পেয়েছি। আগামী দিনগুলোতে ভালো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবো।
জিএম/এসকে