ঢাকাবুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

শ্যালিকার মরদেহ গোপনে দাফনের চেষ্টা, উধাও দুলাভাই

নীলফামারী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি ২০২২ , ০৮:৩৮ এএম


loading/img
ফাইল ছবি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে অপহরণের তিন মাস পর গোপনে দাফনের সময় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) জেলার ওই ইউনিয়নের পানিয়ালপুকুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পালিয়ে যায় ওই তরুণীর দুলাভাই সহীদ শাহ ও তার পরিবারের লোকজন।

নিহত তরুণী কিশোরগঞ্জ উপজেলার মুসা গ্রামের শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। 

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্ত ব্যক্তি একই উপজেলার পানিয়ালপুকুর গ্রামের জাকারিয়া শাহর ছেলে সহীদ শাহ। তিনি জয়পুরহাট জেলায় কর্মরত একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি।

জানা গেছে, শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে স্মৃতির সঙ্গে সহীদ শাহর বিয়ে হয়। তারা জয়পুরহাট জেলা শহরে থাকতো। তাদের একটি ৭ বছরের সৌধ্য নামের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে স্মৃতি সন্তানসহ বাবার বাড়ি ফিরে আসে। এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি সহীদ শাহ তার একমাত্র শ্যালিকাকে অপহরণ করে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা করা হয়। পুলিশ ওই সময় অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারী আসামি দুলাভাই সহীদ শাহকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছিল।

এদিকে ৬ মাস পর সহীদ শাহ জামিন পায়। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর সহীদ শাহ পুনরায় শ্যালিকাকে অপহরণ করে গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার করতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আসামি সহীদ শাহকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে শাহরিয়ার সাগর নামের এক যুবক মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ২টায় ফেসবুকে একটি মেয়ের মরদেহ ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দেয়।

বিজ্ঞাপন

ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লেখা ছিল, রংপুর মেডিকেলে একটি মেয়ের মরদেহ ফেলে সহীদ শাহ নামের একজন লোক পালিয়ে গেছেন। মেয়েটির বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। ফেসবুকে ছবি দেখে অপহৃতের বাবা মেয়েকে চিনতে পারে ও রংপুর মেডিকেলে ছুটে যায়।

কিন্তু তিনি সেখানে গিয়ে মেয়ের মরদেহ দেখতে না পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ওই নারীর বাবা জানান, বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে রংপুরে মেয়ের মরদেহ দেখতে না পেয়ে তিনি কিশোরগঞ্জ থানায় আসেন।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় তিনি জানতে পারেন তার ছোট মেয়ের মরদেহ বড় মেয়ের জামাই সহীদ শাহের বাড়িতে এনে দাফনের চেষ্টা চলছে। সেখানে তিনি পুলিশসহ গেলে বাড়ির লোকজন মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, আগের অপহরণ মামলার সূত্র ধরে আমরা মরদেহ সন্ধ্যায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। 

জিএম/এসকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |