দিনাজপুরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা উত্তোলন স্থগিত করেছে খনি কর্তৃপক্ষ।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান জানান, করোনা সংক্রমণে নিজে আক্রান্তসহ ৩১ কর্মকর্তা ও খনিতে কর্মরত ২৯৩ চীনা নাগরিকের মধ্যে ১৮৪ করোনা পরীক্ষায় ৫০ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আরও অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা উপসর্গে ভুগছেন। এ কারণে খনি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে কয়লা উত্তোলন স্থগিত রেখেছে।
এদিকে খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী সরকার।
তিনি বলেন, এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রয়োজনীয় জ্বালানির একমাত্র উৎস বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। আগামী দুই মাসের মধ্যে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করা না গেলে নিশ্চিত জ্বালানি সংকটে পড়বে কয়লা ভিত্তিক এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান নিজের করোনায় আক্রান্তের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, খনিতে ২৯৩ চীনা নাগরিকের মধ্যে ৫০ ও বাংলাদেশি ৭২ কর্মকর্তার মধ্যে ৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এদিকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে ও তাদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
কয়লা উত্তোলন স্থগিত থাকায় বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহে সংকটের আশঙ্কাকে নাকচ করে তিনি বলেন, বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার মে. কয়লা মজুদ রয়েছে। এই কয়লা শেষ হওয়ার পূর্বে খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হবে।
জিএম/এসকে