দিনাজপুরের হিলিতে গত দুদিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে ঘন কুয়াশার মধ্য দিয়ে ভোর শুরু হয়েছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় রোদের দেখা মিললেও শীতের প্রকোপ যেন কমছেই না। রোদের তেজ কম। তবে বিকেল থেকে আবার কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে চারদিক। অতিরিক্ত ঠাণ্ডার কারণে জনজীবনে স্থবিরতা বিরাজ করছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পরছে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। ভোররাত থেকে অতিরিক্ত ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সব প্রকার যানবাহন।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরে ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ কি.মি.। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এটি ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে উন্নীত হতে পারে।
এ ছাড়াও রংপুরে ১০ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮.৪, ডিমলায় ৯.৬, নওগাঁয় ১০.০, রাজশাহীতে ৯.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় এখন পর্যন্ত ৭.৭ ডিগ্রি।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে রংপুর বিভাগসহ দেশের আরও কিছু কিছু স্থানের ওপর দিয়ে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। তবে আগামী ২ দিনের মধ্যে সারাদেশে তাপমাত্রা সামান্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।