বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন বৃদ্ধা আম্বিয়া খাতুন। জীবনের দীর্ঘ সময়ে বহুবার ভোট দিয়েছেন নিজে। এখন হাঁটতে পারছেন না। তাই নাতির সঙ্গে রিকশায় চেপে ভোটকেন্দ্রে আসে ভোট দিতে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি ভোট প্রদান করেন।
জানা গেছে, শঙ্কা আর উৎকণ্ঠায় আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুমিল্লার বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট। নির্বাচনকে ঘিরে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ঘটেছে হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা। এ কারণে নির্বাচনের দিনও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। ২৪ ইউপির ২০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর ছয় হাজারের বেশি সদস্য মাঠে নিয়োজিত রয়েছেন। তাছাড়া মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ৪৪ ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার দুটি উপজেলার মধ্যে বুড়িচংয়ের নয়টি ও দেবিদ্বার উপজেলার ১৫টি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। ২৪টি ইউপির ২৪৯ কেন্দ্রে ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৫০৭ টি। মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৯ জন।
পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে বাড়ি ফেরার পথে আম্বিয়া খাতুন বলেন, শেষ ইচ্ছে পূর্ণ হলো। এখন ভোট দেওয়া অনেক সহজ। কোনো ঝামেলা নেই। এক সময় স্বামীর সঙ্গে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছি। এখন স্বামী নেই। তাই নাতির সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে এসেছি। মনের আশা পূর্ণ হয়েছে।
পুলিশের জেলা গোয়েন্দা তথ্য কর্মকর্তা মো. মনির আহাম্মদ জানান, কুমিল্লার দুই উপজেলায় ২০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে দেবিদ্বার উপজেলায় ১০৬ ও বুড়িচং উপজেলায় ১০০টি কেন্দ্র রয়েছে। নির্বাচনে জেলা পুলিশের ১ হাজার ৮০০ সদস্য, র্যাব, বিজিবিসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত আছেন।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে মুসলিমা জানান, একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু ভোটের আয়োজন করতে ৪৪ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনি মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনের দিন ও এর আগে পরে মাঠে থাকছেন তারা।