বরগুনায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে গর্ভের দুই মাসের সন্তানকে নষ্ট করার অভিযোগে পুলিশ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম রুবেলকে (২৬) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি বরগুনার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে তাইজুল ইসলাম রুবেল (২৮)। তিনি পিরোজপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাইজুলের। বিয়ের পর থেকেই তাইজুল বিভিন্ন সময়ে সুমির পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতেন। এদিকে গত বছরের ৫ আগস্ট ছুটি কাটাতে বাড়িতে আসেন তাইজুল। এ সময় চাকরির পদোন্নতির জন্য সুমির কাছে প্রায় ৫ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। এ সময় সুমি টাকা না দিতে চাইলে বেধড়ক মারধর করেন তাইজুল। এতে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমির গর্ভপাত হয় এবং তিনি গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুমির মা হেলেনা বেগম বাদী হয়ে একই বছর ১ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইবুনাল। পরে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তাইজুল। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদী হেলেনা বেগম বলেন, মামলা করার পর আমার জামাতা রুবেল আমার মেয়েকে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও হুমকি দিয়ে আসছে।
বাদীর আইনজীবী মুজিবুল হক কিসলু বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গত বছর মামলা হয়। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান বলেন, তাজুল ইসলাম রুবেল জেল হাজতে যাওয়ার অফিসিয়াল কোন তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিএম