ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থুমনিয়া নাপিতপাড়া গ্রামে ছেলে হিসেবে জন্ম নেয় সুবল। বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পরির্বতন দেখা যায় তার মধ্যে।একবারে শৈশব থেকেই আচরণ করতে থাকে মেয়েদের মতো। তাই নিজের মতো করে বাঁচতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেকে পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তর করেছে সে, নাম দিয়েছেন মেঘা।
জানা গেছে, ২৭ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে নরসুন্দর বাবা জগেশ শীল ও মা আলো রানীর ঘরে জন্ম নেয় সে। বাবা-মা ওই সন্তানের নাম দেন সুবল শীল। সন্তান যতই বড় হতে থাকে তার আচার-আচরণ মেয়েদের মতো হয়ে ওঠে। সুবলকে নিয়ে ভীষণ চিন্তায় পড়েন বাবা-মা।
মা আলো রানী বলেন, সুবল যখন ছোট তখন থেকে তার আচরণ মেয়েদের মতো। মেয়েদের মতো সাজগোজ করতে তার ভালো লাগত। আমরা অনেক চিন্তিত ছিলাম। অনেক চেষ্টা করেও তার আচরণ পাল্টাতে পারিনি। এ জন্য অনেক গালমন্দও করতাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে আমার ছেলে এখন রূপান্তরিত মেয়ে।
মেঘার বাবা জগেস জানান, তার দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মেঘা বড়। সে এখন মেয়ে হয়ে যাওয়ায় এখন তিনি দুই মেয়ে ও এক ছেলের বাবা। মেঘার ইচ্ছাকে তারা মেনে নিয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ নিমাই জানান, মেঘা সম্পর্কে তার নাতি ছিল। এখন নাতনি। সে প্রথম বাড়িতে আসায় তাকে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে। মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই।
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জব্বার বলেন, যারা ছেলে এবং মেয়ের মাঝা মাঝি অবস্থায় থাকে তাদের অপারেশনের মাধ্যমে এটা করা সম্ভব। এখন দেশেও এ ধরনের অপারেশন হচ্ছে।