গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বিকেল ৩টার দিকে আসামিদের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানা লিপি ও মো. শরীফুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের শাফায়েত মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া ওরফে ইমন (২২), শহরের মার্কাস মহল্লার বাবুল ফকিরের ছেলে পিয়াস ফকির (২৬), পরেশ বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২৪), চাঁন মিয়া সরদারের ছেলে মো. হেলাল সরদার (২৪), নবীনবাগের অহিদুজ্জামানের মো. নাহিদ রায়হান (২৪) ও তূর্য মোহন্ত (২৬)।
জানা গেছে, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগস্থ হেলিপ্যাড থেকে হেঁটে বের হচ্ছিলেন। এ সময় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে কয়েকজন যুবক তাদের তুলে নেয়। পরে পাশে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে বন্ধুকে মারধর ও ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা দলবেঁধে ধর্ষণে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছে। পরে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে আসামিদের গোপালগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।