ভাইকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও হত্যা
গার্মেন্টস কর্মী রিবা আক্তার (১৫)’কে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ের দুই মাস পর ভাইকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল (৬০) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেলে আব্দুর রাজ্জাককে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে গত ১৫ই মার্চ রিবা আক্তারের লাশ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার টাংগাটি গ্রাম থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহা.আহমার উজ্জামান বলেন, দুই মাস পূর্বে গাজীপুরে নরসিংদী জেলার মাধবপুর উপজেলার খিলগাঁও গ্রামের অটোচালক দুলাল মিয়ার মেয়ে গার্মেন্টস কর্মী রিবা আক্তারের পরিচয় হয় আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। পরে আব্দুর রাজ্জাক তাকে সাংবাদিক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর আব্দুর রাজ্জাকের গাজীপুরের গাছা রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় তরুণীর যাতায়াত ছিল।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গত ১৫ মার্চ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশে এক যুবকের জন্মনিবন্ধনের কাগজ পায় তারা। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দেওয়া আব্দুর রাজ্জাক তার ভাতিজা ও ভাইকে ফাঁসাতে গাজীপুর থেকে স্ত্রী রিবাকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া কংশ নদের পাশে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার করে মরদেহ ফেলে রাখে। পরে ভাতিজার জন্ম নিবন্ধনের কাগজ মরদেহের পাশে ফেলে রাখে রাজ্জাক। ওই জন্মনিবন্ধনের সূত্র ধরে যুবক শহিদুল্লাহকে আটকও করে পুলিশ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার মূলহোতা আব্দুর রাজ্জাককে দুইদিন পর বুধবার (১৬ মার্চ) অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আরও দুইজন জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে ঘাতক রাজ্জাক। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে।
মন্তব্য করুন