ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ইয়াসিন মিয়া (৭) ও মোরসালিন মিয়া (৪) নামের দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মা লিমা বেগম ওরপে রিমার বিরুদ্ধে ‘পরকীয়া সম্পর্কের’ যে অভিযোগ উঠেছে তা বিশ্বাস করতে চাইছেন না দুর্গাপুর গ্রামবাসী। এই ঘটনায় নিহত দুই শিশুর পরিবারও হতবাক।
এলাকাবাসী আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, শিশু দুটির মৃত্যুর ঘটনায় যদি রিমা বেগম জড়িত থাকে, তাহলে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন দুই শিশু হত্যাকাণ্ডে মিষ্টি সরবরাহকারী রিমা বেগমের প্রেমিক সফিউল্লাহ সফু। তার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে দু'শিশুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মা রিমা। বুধবার দুই শিশুকে হত্যা করার অভিযোগে থানায় স্ত্রী, তার প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এরপরই রিমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যা সংগঠনের বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। তবে সফিউল্লাহসহ বাকি ৩ আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন।
-
আরও পড়ুন... প্রেমিককে স্বামী বানাতেই সেই দুই সন্তানকে খুন
রিমার পরকীয়া প্রেমিক চার সন্তানের জনক সফিউল্লাহ'র বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশাইর গ্রামে। সে স্থানীয় বগইর গ্রামের একটি চাতাল কলের শ্রমিক সর্দার।
ওই চাতাল কলে গিয়ে জানা গেছে, গত ৪ থেকে ৫ দিন ধরে পলাতক সে। লিমা ও সফিউল্লার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কথা তাদের সঙ্গে কাজ করা অন্য শ্রমিকরা জানতে না। দুই শিশুর মৃত্যুর পর তিন দিন চালকলে স্বাভাবিকভাবেই কাজ করেন শ্রমিক সর্দার সফিউল্লা। এরপরই গা ঢাকা দেন তিনি।
তবে সফিউল্লাহ'র পরিবারের সদস্য ও তার স্ত্রীর দাবি, সফিউল্লাহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি এমন কাজ করবেন, এটা তারা বিশ্বাস করেন না।
-
আরও পড়ুন... দুই সন্তানকে হত্যা : আদালতে স্বীকার করলেন মা
এদিকে পুলিশ আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, সফিউল্লাহসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে তাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রিমা বেগমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেখানে তিনি বিচারক আফ্রিনা আহমেদ হ্যাপির সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) ভোরে দুই শিশুর বাবা ইসমাইল হোসেন সুজনের ঘটনায় রিমা বেগম এবং সফিউল্লাহ সফুকে দায়ী করে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।