রাজধানীর তীব্র যানজটের জন্য মূলত বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়হীনতাই দায়ী বলে মনে করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল। যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের সম্মিলিতভাবে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান কার্যালয়ে, মোহাম্মদপুরস্থ বিআরটিসি বাস ডিপো সংলগ্ন ইন্টারসেকশন প্রশস্তকরণের লক্ষ্যে বিআরটিসির সঙ্গে ডিএনসিসির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরাই অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনা গড়ে তোলার মাধ্যমে তীব্র যানজট সৃষ্টি করেছি। অতএব পরিকল্পিতভাবে আমাদের কাজ করতে হবে। বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মোহাম্মদপুর, আসাদ এভিনিউ, সাত মসজিদ রোড, বেড়িবাঁধ বাঁশবাড়ি সড়ক এবং শেরে বাংলা রোড হতে আগত যানবাহন সমূহের নির্বিঘ্ন চলাচল, যানজট নিরসন এবং নিরাপদে পথচারী চলাচলের সুবিধার জন্য মোহাম্মদপুরস্থ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) বাস ডিপো সংলগ্ন ইন্টারসেকশন প্রশস্থকরণের লক্ষ্যে বিআরটিসির সাথে ডিএনসিসির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের পক্ষে চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম উক্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মু. আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম (সেন্টু), ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ এবং বিআরটিসির বাস ডিপোর ইনচার্জ মো. জুলফিকার আলী প্রমুখ।