কুড়িগ্রাম সদরে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ধান অর্ধেকই চিটা হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার কোথাও কোথাও শুধুমাত্র গরুর খড়ের জন্য ধান কাটছে চাষিরা। বিপাকে পড়ে বাধ্য হয়ে আধাপাকা ধানও কাটতে হচ্ছে চাষাদের।
গত তিনদিনের বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম সদরের ৮টি ইউনিয়নের শত শত বিঘা জমির পাকা-আধাপাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে থাকায় পাকা ধানগুলোর অর্ধেকই চিটা হয়ে গেছে।
ওই এলাকার কৃষক আবেদ আলী ও হাবিবুর রহমানসহ চাষিরা জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ধানগুলোর অর্ধেকই চিটা হয়ে গেছে। অতিরিক্ত দামে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছি আধাপাকা। এখন দুই মনের মধ্যে এক মন পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও চিন্তিত রয়েছি। কোথাও কোথাও শুধুমাত্র গরুর খড়ের জন্য ধান কাটা হচ্ছে।
পাঁচগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন মিয়া জানান, টানা বৃষ্টির কারণে আমার পাঁচগাছীর অধিকাংশ কাচা-পাকা ধান তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ধান উদ্ধারে বাধ্য হয়ে কাচা-পাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১৩ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। সদরে ২৫ ভাগ ধান ইতোমধ্যেই কর্তন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ধান এখনো জমিতে পড়েই রয়েছে। এসব ধান নিয়ে এখন চিন্তিত কৃষক। টানা তিনদিন অফিস বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত কৃষি বিভাগের নিমজ্জিত বোরোধানের পরিসংখ্যানের তালিকা করতে পারেনি।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর সবুর মিয়া জানান, ঘুর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত তিনদিনে জেলায় ২০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে আগামী ২/৩ দিন উত্তরাঞ্চলে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।