ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

আমের কেজি ২ টাকা

নওগাঁ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ২১ মে ২০২২ , ০২:২৮ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি নিউজ

গত দুই রাতে নওগাঁ জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে গাছে থাকা আম ঝরে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এবং শুক্রবার (২০ মে) দিবাগত রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে নওগাঁয় ব্যাপক আম ঝরে পড়েছে। জেলার সাপাহারের আম বাজারগুলোতে সেই আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা কেজিতে।

বিজ্ঞাপন

গত কয়েকদিন আগে কালবৈশাখী ঝরে পড়ে যাওয়া আমের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও কালবৈশাখীর হানায় আম ঝরে যাওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন স্থানীয় আমচাষিরা।

সাপাহারের আম বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝরে পড়া আম কিনছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি আম কিনছেন ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে। 

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষিরা জানিয়েছেন, ঝড়ের কবলে বাগানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে। ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপলী, বারি-৪ সহ বিভিন্ন জাতের আম ঝরে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। তবে ল্যাংড়া ও ফজলি জাতের আম বেশি ঝরেছে।

সাহাপাড়া গ্রামের আমচাষি জুয়েল রহমান বলেন, ৪০ বিঘা বাগানে প্রায় ১৫ মণ আম ঝরে গেছে। যা বাজারে বিক্রি করতে এসে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, গত রাতের কালবৈশাখীর তাণ্ডবে আমের ওপর প্রভাব পড়েছে। যাতে করে এ বছরে আম বাজারের গতি অনেকটা পাল্টে যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

আমচাষি প্রদীপ সাহা বলেন, আমার প্রায় ১০০ মণ আম ঝরে গেছে। শ্রমিক লাগিয়ে আম কুড়িয়ে বাজারে এনে বিক্রয় করতে হচ্ছে ২-৩ টাকা কেজি। যাতে করে শ্রমিকের মজুরি ও গাড়ি ভাড়াও ওঠছে না।

তিনি আরও বলেন, আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই এলাকার সুনাম সারাদেশেই রয়েছে। তবে যদি আম সংরক্ষণাগার বা কোন জুস কোম্পানি থাকতো তাহলে কাঁচা আম বিক্রয়ে এতোটা লোকসান বহন করতে হতো না আম চাষিদের।

আরও এক গ্রামের আম চাষি রহমান জানান, ৮০ থেকে ১২০ টাকা মণ আম কিনছি। আমরা এসব আম আঁচার কোম্পানিতে বিক্রি করবো। সেক্ষেত্রে হয়তো প্রতিমণ আমে ২০ থেকে ২৫ টাকা লাভ হতে পারে। 

সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাতের কালবৈশাখীর কবলে পুরো উপজেলায় ২ শতাংশ আম ঝরেছে। যার মধ্যে ল্যাংড়া ও ফজলি বেশি ঝরেছে।

এ বিষয়ে সাপাহার  উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরের জরিপ অনুযায়ী পুরো উপজেলায় মোট ২ শতাংশ আম ঝরেছে। তবে ২-৩ টাকা কেজি দরে কাঁচা আম বিক্রয় হওয়ায়  দুঃখ প্রকাশ করছি।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |